পার্বণ বিভাগে ফিরে যান

পুরীর রথযাত্রা

জুন 20, 2023 | 2 min read

Image Courtesy : jagran.com

প্রতি বছর আষাঢ় মাসে ওড়িশার পুরী জগন্নাথ মন্দির থেকে ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রা হয়। এবছর রথযাত্রা আগামীকাল অর্থাৎ, ২০ জুন।

কেন পালন করা হয় রথযাত্রা:

পৌরানিক মতে, সুভদ্রা তার দাদা জগন্নাথের কাছে দ্বারকা নগরী দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বোনের ইচ্ছাপূরণে জগন্নাথ সুভদ্রাকে সঙ্গে নিয়ে রথে করে ঘুরেছিলেন। সেই ঘটনাকে স্মরণ করেই এই রথযাত্রা শুরু হয়েছিল। গুন্ডিচায় জগন্নাথ, বলভদ্র আর সুভদ্রা তার মাসির বাড়িতেও যান। মনে করা হয়, সেই থেকেই এই রথযাত্রার প্রথা শুরু হয়।

রথের বিবরণ:

বলরামের রথ ‘তালধ্বজ’ নামে পরিচিত, এর রং লাল ও সবুজ হয়, রথের উচ্চচা ৪৫ ফুট। সুভদ্রার রথের নাম ‘পদ্মরথ’, এই রথের রং কালো বা নীলের সঙ্গে লাল, রথ ৪৪.৬ ফুট উঁচু। প্রভু জগন্নাথের রথের নাম গরুধ্বজ, তাঁর রথের রং লাল ও হলুদ বা সোনালি, উচ্চতা ৪৫.৬ ফুট।

রথ তৈরির প্রথা:

রথের কাঠ সোজা ও খাঁটি হতে হয়, ব্যবহার করা যায় না কোনো পেরেক, কাটা কাঠ।এমনকি এই রথগুলিতে কোনও ধাতু ব্যবহার করা হয় না। সোনার কুড়ুল দিয়ে কাটা হয় কাঠ। জঙ্গলে গিয়ে বন দপ্তরের সহযোগিতায় নির্বাচিত গাছ পুজো করে তা কাটা হয়। রথ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় নিম ও হাঁসি গাছের কাঠ. তিনটি রথ নির্মাণের জন্য প্রায় ৮৮৪ টি গাছের ১২-১২ ফুট কাণ্ড ব্যবহার করা হয়।

রথ তৈরি করার দু’মাস সময়কালে রথ তৈরির স্থান ছেড়ে কোথাও যাননা কারিগরেরা। নিরামিষ আহার ও ব্রহ্মচর্য পালন করতে হয় কারিগরদের।কারিগরের পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তবে সেই কারিগরকে রথ তৈরির কাজ থেকে সরে আসতে হবে।

বসন্ত পঞ্চমীর দিন রথের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠ নির্বাচন করা হয় এবং অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে এই তিনটি রথ তৈরির কাজ শুরু হয়।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলার এবারের আকর্ষণ সংগ্রহশালা
FacebookWhatsAppEmailShare
পুজোয় কোন খাতে খরচ হবে অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা?
FacebookWhatsAppEmailShare
পুজো কমিটিগুলির অনুদান বাড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
FacebookWhatsAppEmailShare