নির্বাচনী বন্ড দেশের সর্ববৃহৎ দুর্নীতি: প্রশান্ত ভূষণ
ইলেক্টোরাল বন্ডের বিনিময়ে সংস্থাগুলির তৈরি ক্ষতিকর ওষুধ, টিকা বড়সড় বেনিয়ম ধাপাচাপা দেওয়ার পাশাপাশি প্রচুর সরকারি ‘চুক্তি’ পাইয়ে দিয়ে লাভবান হয়েছে মোদি সরকার। এগুলি জনসমখ্যে আসার ফলে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কমতে বাধ্য। ১১ই মে কলকাতার প্রেস ক্লাবে এমনই দাবি করলেন প্রখ্যাত ব্যারিস্টার তথা সমাজ আন্দোলনের কর্মী প্রশান্ত ভূষণ।
দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের ডাকে এই আলোচনায় তাঁর সাথে অংশ নিয়েছিলেন ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে আইনী লড়াইয়ের অন্যতম পুরোধা অঞ্জলি ভরদ্বাজও।
প্রশান্ত ভূষণ এবং অঞ্জলি ভরদ্বাজরা জানিয়েছেন, প্রকাশ্যে আসা মোট বন্ডের ৫৪ শতাংশই পেয়েছে বিজেপি। যদিও এটা পুরো হিসেব নয়, ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের সময়ে জমা পড়া প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বন্ডের হিসেব এখন সামনে আসেনি।
নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, পার্টিগুলিকে ব্যবসায়ীদের কালো টাকা দেওয়া ঠেকানোর জন্য এই বন্ড আনা প্রয়োজন। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী জানেন যে আদানি-আম্বানিরা টেম্পো করে টাকা নিয়ে কোনও দলকে দিচ্ছেন। অথচ না আছে কোনও ধরপাকড়, না তিনি কোনওভাবে তা ঠেকাতে পারছেন। তাহলে ইলেক্টোরাল বন্ড আসলে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আনা হয়েছিল, তা জনগণের কাছে স্পষ্ট।
প্রশান্ত ভূষণের মতে ইলেক্টোরাল বন্ড আদায়ে ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থাকে দিয়ে তোলাবাজির পাশাপাশি কালো টাকা সাদা করার খেলাও খেলেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের একটি বড় অংশই মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হেনস্তা করছে ব্যবসায়ীদের। আবার ইলেকটোরাল বন্ডে ডোনেট করলে অভিযুক্তদের সহজ শর্তে জামিন দিয়ে দেওয়ার নিদর্শনও দেখা গেছে।
১১টি এমন সংস্থা বন্ডে টাকা ঢেলেছে, যাদের ব্যবসায়ে ক্ষতির মিলিত পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ কোটি। তাই অঞ্জলি ভরদ্বাজ প্রশ্ন করছেন, এই সংস্থাগুলি কি তাদের লাভ লুকিয়ে রাখছে কিংবা এমন কোনও ক্ষেত্রে রেহাই পাচ্ছে যেটা তাদের পাওয়ার কথা নয়? নিয়ম ভেঙে তিন-চারমাস বয়সি বেশ কিছু সংস্থা বন্ডে টাকা ঢেলেছে। অথচ সংস্থা তিন বছরের পুরনো না হলে এই অধিকার পাওয়ার কথা না। স্রেফ বন্ডের জন্যই এই ভুয়ো সংস্থাগুলি তৈরি করা হয়েছে বলেই দাবি করেছেন তাঁরা।