রেলের ছাপাখানা বন্ধের নির্দেশ
২০২৩ সালের মে মাসে রেল মন্ত্রকের নির্দেশিকায় ছাপাখানা বন্ধ করে যন্ত্রপাতি ও জমি বিক্রি এবং কর্মীদের বদলি করার কথা বলা হয়েছিল। ১৪টি ছাপাখানার মধ্যে ২০১৭ সালে ৯টি ছাপাখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাকি পাঁচটি ছাপাখানা (মুম্বই, হাওড়া, নয়াদিল্লি, চেন্নাই ও সেকেন্দরাবাদ) রয়েছে তা তুলে দেওয়ার তৎপরতা শুরু হয়েছে। রেলের কর্মী ইউনিয়নের অভিযোগ, একই কাজ বহু ক্ষেত্রে বেশি টাকায় বাইরে থেকে করানো হচ্ছে। যা ছাপাখানা ‘বন্ধ’ করার এক ‘চক্রান্ত’ বলছেন তাঁরা। হাওড়ার ছাপাখানায় বহু জরুরি নথি ছাপা হয়। এখানে যে মানের কাগজ লাগে সেটা সরাসরি কিনতে পারে না হাওড়ার ছাপাখানা। মুম্বই ছাপাখানার মাধ্যমে আসে। তাই কাগজের অভাব প্রায়ই দেখা দেয়। তার জেরে কাজ বন্ধ থাকে। তাই এই ছাপাখানা বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।কোটি কোটি টাকার আধুনিক মুদ্রণ যন্ত্র এবং প্রশিক্ষিত কর্মী থাকলেও, কেন্দ্রের নির্দেশের জেরে হাওড়ায় রেলের ছাপাখানার ২৯১ জন কর্মীর এখন কাজ নেই।