উধাও নোট নিয়ে মুখ খুলল RBI
RBI এর দাবি, নোট উধাও বলে যে খবর কিছু সংবাদমাধ্যমে তা সত্যি নয়। ২০০৫ সালের তথ্য জানার অধিকার আইনে টাঁকশাল নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়, তার ভুল ব্য়খ্যা করা হয়েছে। টাঁকশাল থেকে RBI-এর হাতে যে পরিমাণ নোট এসেছে, সবকিছুর হিসেব রয়েছে। নোট ছাপানো থেকে গচ্ছিত রাথা এবং বাজারে বেরনো, পুরোটাই একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হয়।
নোট টাঁকশালে ছাপা হয়েছে অথচ তার কোন হিসেবে নেই। উধাও হাজার হাজার ৫০০ টাকার নোট যার মূল্য ৮৮ হাজার কোটিরও বেশি। ভারতীয় অর্থনীতি এমনিতেই ধুঁকছে তার মাঝে এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন অর্থনীতিবিদরা। আরটিআই এর মাধ্যমে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
মিলছে না ছাপা হওয়া নোটের সংখ্যা এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাতে যে পরিমাণ ৫০০ টাকার নোট এসেছে সেই সংখ্যা। জানা গেছে, সেইসময় আরবিআই-এর গভর্নর ছিলেন রঘুরাম রাজন।
ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৩টি ট্যাঁকশাল থেকে নতুন ডিজাইন করা ৫০০ টাকার ৮,৮১০.৬৫ মিলিয়ন নোট ছাড়া হয়েছে। অথচ, আরবিআই মাত্র ৭,২৬০ মিলিয়ন পেয়েছে। উধাও হয়ে যাওয়া এই বিপুল পরিমাণ নোটের মূল্য প্রায় ৮৮,০৩২.৫ কোটি টাকা।এরমধ্যে ২০১৫-র এপ্রিল থেকে ২০১৬-র মার্চের মধ্যে নাসিকের ট্যাঁকশালে ছাপা ২১০ মিলিয়ন নোটও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোট মুদ্রান (পি) লিমিটেড, নাসিকের কারেন্সি নোট প্রেস এবং দেওয়াসের ব্যাঙ্ক নোট প্রেস – এই ৩টি সরকারি ট্যাঁকশালে ছাপা হয় ভারতীয় নোট। ছাপার পর সব নোট পাঠানো হয় আরবিআই ভল্টে।