সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক মোদীর
আজ দিল্লিতে মোদীর দরবারে ডাক পেয়েছেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। একে-একে সব শরিক দল ও সব রাজ্যের গেরুয়া সাংসদদের সঙ্গে বসবেন মোদি, খোঁজ নেবেন সংগঠনের, তৈরি করবেন ২০২৪-এর রণনীতি।
২০১৯-এ বাংলা থেকে ১৮জন বিজেপির টিকিটে জিতলেও বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির সাংসদসংখ্যা ১৬। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং ও আসানসোলের সাংসদ এবং অধুনা মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। বাংলায় বিজেপির ঘোষিত জোটসঙ্গী বলতে মান ঘিসিংয়ের গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট, যারা ডাক পেতে পারে দিল্লির বৈঠকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে গাঁটছড়া বাঁধলেও বৈঠকে ডাক পাবেনা বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং অজয় এডয়ার্ডসের হামরো পার্টি।
নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি বৈঠকে জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নীতীন গড়করিরাও থাকবেন। গত সোম ও মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা, বিএল সন্তোষ, সুনীল বনশল ও মঙ্গল পাণ্ডে।
লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রচার প্রস্তুতি কেমন হবে, সেই নিয়ে সোমবার থেকে দলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠক শুরু করেছেন মোদী। মোট ১১ দফায় NDA শরিকদলের সাংসদদের সঙ্গেও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সন্ধ্যায় ডাক পেয়েছিল ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং বাংলার সাংসদরা। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত সংসদ ভবনের এক নম্বর কমিটি হলে চলে বৈঠক। মোদীর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বক্তৃতা করেন। এই মিটিংয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, দিলীপ ঘোষকে ভালো খবর আছে বলে আস্বস্ত করছেন। বঙ্গবিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব থামাতে এই আশ্বাসবাণী কতটা কাজে লাগবে তা সময়ই বলবে।
দলীয় সাংসদদের সাথে বৈঠকে মোদী নির্দেশ দেন কোনো সাংসদ যেন ইন্ডিয়া জোট কে ইন্ডিয়া না বলেন, তার বদলে বিজেপির সাংসদরা এই জোট কে I-N-D-I-A বলে অবিহিত করেন। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিরোধী জোট দানা বাঁধায় চাপে রয়েছে মোদী সরকার।
বাংলা, ওড়িষ্যা, ঝাড়খন্ড মিলিয়ে বিজেপির লোকসভা সাংসদ সংখ্যা ৩৫। সেখানে ৩০ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় বৈঠক। মুসলিম মহিলাদের কাছে পৌঁছাতে রাখি বন্ধনের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের সাংসদদের সাথে মিটিং হয়েছে এক ঘন্টার উপরে।