বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

‘মি টু’ অভিযুক্তদের নতুন স্ক্রিন-জীবনপ্রাপ্তি ঘটাচ্ছে রিয়ালিটি শো!

অক্টোবর 13, 2022 | < 1 min read

পরিচালক সাজিদ খান। ব্যবসায়ী ও লেখক সুহেল শেঠ। সাংবাদিক ও বিজেপি নেতা এমজে আকবর। তিনটে নাম, এক সূত্রে বাঁধা – এদের সবার বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা যৌন নির্যাতন, নিপীড়ন এবং শ্লীলতাহানির মতো অভিযোগ এনেছিলেন কিছু বছর আগে।

কিন্তু ঠিক এই মানুষগুলো পুনরায় ‘স্পটলাইট’ পাইয়ে দিচ্ছে টিভি রিয়ালিটি শো। সলমন খানের হোস্ট করা বিখ্যাত টিভি শো ‘বিগ বস’-এ দেখা যাচ্ছে সাজিদ খানকে, খুব সুনিপুনভাবে ‘রিলঞ্চ’ করা হচ্ছে তাকে।

কিন্তু এখানেই ওঠে বহু-বহু প্রশ্ন। প্রথমত, যারা ‘মি টু’ নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তারা এটা মাথায় রাখেনা যে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলাদের একটা কথা বলা, একটা অভিযোগ করা দুষ্করের থেকে কম কিছু না। যদি তা না হতো, তাহলে খাতায়-কলমে জমা পড়া ধর্ষণের অভিযোগের থেকে কয়েকগুণ বেশি ধর্ষণ হতোনা দেশে। দ্বিতীয়ত, এরা সবাই প্রভাবশালী। সাজিদ খান চিত্রপরিচালক। এমজে আকবর মোদির ক্যাবিনেটের বিদেশমন্ত্রী ছিলেন।

কিন্তু এই সাজিদ খানের বিরুদ্ধে মন্দনা করিমির মতো অভিনেত্রী সহ প্রায় ১০জন মহিলা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। সুহেল শেঠ, যিনি খবরের কাগজের পাতায় মানুষকে ‘অপমানজনক কথা’ বলার জন্য বিখ্যাত ছিলেন, তার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন ৬ জন মহিলা। এমজে আকবরের বিরুদ্ধে ১১ জন মহিলা সাংবাদিক অভিযোগ করেন, যার মধ্যে প্রিয়া রামানিকে ২ বছর জেল খাটতে হয় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার জন্য – কারণ, তিনি মোদির মন্ত্রী।

এহেন ব্যক্তিদের ‘ধর্ষক’ ছাড়া কিছু বলা যায়না। যখন খবরের কাগজের পাতায় ধর্ষণের খবর পড়লে আপনাদের রক্ত ক্রোধে টগবগ করে ফোটে, তখন এই মানুষগুলোকে দেখে রাগ হয়না? টিভির পর্দা নয়, সাজিদ-সুহেল-আকবরদের মতো মানুষদের আসল ঠাঁই হওয়ার কথা কারাগারে।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

লরেন্স বিষ্ণয়ের জীবন নিয়ে তৈরি হতে চলেছে ওয়েব সিরিজ
FacebookWhatsAppEmailShare
৩৫ বছর পর ফের টিভিতে ফৌজি, শাহরুখের জায়গায় কোন অভিনেতা?
FacebookWhatsAppEmailShare
প্রয়াত দেবরাজ রায়
FacebookWhatsAppEmailShare