ফের উত্তপ্ত মণিপুর, কুকি সংগঠনের বনধের ডাক, জারি কারফিউ
নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল মণিপুরে। সন্দেহভাজন ১০ কুকি উগ্রপন্থীর মৃত্যু হল সেখানে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালীন, জিরিবাম জেলায় এনকাউন্টারে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালীন, সিআরপিএফ-এর এক জওয়ানও আহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে জিরিবামে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করেছে রাজ্যের সরকার। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।গতকালের হামলার পরই অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছে সিআরপিএফ। অন্যদিকে, কুকি জনগোষ্ঠীর তরফে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে তাঁদের ‘ভিলেজ ভলেন্টিয়ার’দের মৃত্য়ুর প্রতিবাদে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের তরফে কার্ফু জারি করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে রকেট প্রপেলড গ্রেনেড থেকে শুরু করে একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। ভিলেজ ভলেন্টিয়ারদের কেবল সিঙ্গল ব্যারেল বন্দুক ব্যবহার করারই অনুমতি রয়েছে, তাও লাইসেন্সপ্রাপ্ত। কিন্তু বিভিন্ন সময়েই কুকি জঙ্গিদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখা গিয়েছে।
এই অস্ত্র কোথা থেকে আসছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লক্ষণীয়, কয়েকদিন ধরেই জিরিবামের বোরোকেবরা এলাকার মানুষ মেইতি ও কুকি গোষ্ঠীর জঙ্গিদের মধ্যে হানাহানির শিকার। মেইতি হামলায় হোমার সম্প্রদায়ের এক স্কুলশিক্ষিকার মর্মান্তিক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিস্ক্রিয়তার। সোমবার ফের বোরোকেবরা এলাকায় হামলা চালায় কুকি গোষ্ঠীর জঙ্গিরা।
সংঘর্ষ বাধে মেইতি জঙ্গিদের সঙ্গে। তবে পুলিশ বা সিআরপিএফ সময়মতো পদক্ষেপ নিলে এদিনের ঘটনা এতদূর গড়াতো না বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। সোমবার রাজ্যের অন্যান্য জায়গা থেকেও দফায় দফায় খবর এসেছে সংঘর্ষের।