বাংলা বিভাগে ফিরে যান

‘ম্যান মেড বন্যা’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সেপ্টেম্বর 18, 2024 | 1 min read

গত কয়েকদিনে নিম্নচাপের বৃষ্টি তার সাথে জল ছেড়েছে ডিভিসি, সবমিলিয়ে বাংলার বেশকিছু জেলা বন্যা কবলিত। একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি। আজ হুগলির বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরশুড়ার একটি সেতুতে দাঁড়িয়ে প্লাবন দেখে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তার অভিযোগ ‘‘পরিকল্পিতভাবে বাংলাকে ডুবিয়েছে, এটা ম্যান মেড।’’
কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী:
কেন্দ্রের অসহযোগিতা এবং উদাসীনতায় বাংলায় প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ডিভিসি থেকে।
আমি নিজে ডিভিসি-র সঙ্গে কথা বলেছি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এত জল এর আগে ছাড়া হয়নি।
যখন ৭০-৮০ শতাংশ জল ভরে যায়, তখন কেন জল ছাড়ে না ডিভিসি?
কেন্দ্র ‘ড্রেনেজ’ করে না কেন? নিজেদের রাজ্যগুলোকে বাঁচাচ্ছে। আর সবটা বাংলার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলা আর কত বঞ্চনা সহ্য করবে?
দামোদরের জলে প্লাবিত হুগলির বেশ কিছু এলাকা। ইতিমধ্যেই জলের তলায় বহু বসতবাড়ি। ঘটালেও এক অবস্থা। পুরশুড়ার বেশ কিছু জায়গায় জলবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষজন। বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। বন্যাকবলিত তারকেশ্বর ব্লকের কেশবচক, সন্তোষপুর, তালপুর, চাপাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজার হাজার মানুষ। দুর্গতদের উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
দিন কয়েক আগেও সমাজমাধ্যমে ‘ম্যান মেড’ বন্যার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত আগস্ট মাসে প্লাবন পরিস্থিতি নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছিলেন, ‘‘এখনই আমি ঝাড়খণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী হেমন্ত সোরেনজির সঙ্গে কথা বললাম। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। তেনুঘাট থেকে আচমকা বিপুল জল ছাড়া নিয়ে আমি আলোচনা করেছি। এর জেরে বাংলা ইতিমধ্যেই প্লাবিত হতে শুরু করেছে। আমি তাঁকে বলেছি, ঝাড়খণ্ডের জলে বাংলা প্লাবিত হচ্ছে আর এটা ‘ম্যান মেড’। আমি এই ব্যাপারটি দয়া করে দেখার জন্য বলেছি।’’

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

কোচবিহারে নররক্তেই পুজো হয় বড়দেবীর
FacebookWhatsAppEmailShare
উৎসবের আবহে ফের করোনা-আতঙ্ক
FacebookWhatsAppEmailShare
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
FacebookWhatsAppEmailShare