হকারদের জন্য নির্দিষ্ট জোন তৈরির প্রস্তাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
![](https://newsznow.in/wp-content/uploads/2024/06/didi-2-copy-1024x576.webp)
রাজ্য জুড়ে হকার উচ্ছেদের মাঝেই আজ নবান্নে আবারও বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক কি নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, দেখে নিন –
- হকার উচ্ছেদ আমাদের লক্ষ্য নয়। একটা সিস্টেমের মধ্যে চলতে। আমি একজনকে সিস্টেম বানাতে বলেছি। রাজীব কুমারকে একটি সিস্টেম বানাতে বলেছি। সেটা বানিয়ে আমাকে দেবে।
- দিঘা, মুকুটমণিপুরে হকার তুলে দেওয়া হয়েছে।
- হকারদের আইনি বৈধতা দিতে পরিচয়পত্র করা হবে. রাস্তায় স্টলের পাশে গোডাউন করা হচ্ছে।
- KMC এলাকায় নাম রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৬১ হাজারের বেশিহকার আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ৫৯ হাজার সিলেক্টেড। ২ হাজার বাদ গিয়েছে। কারণ তাদের 4 টে করে ডালা। বাকিদের সুযোগ দিন। দয়া করে হকার নেতারা চাঁদা তুলবেন না, আর পুলিশকেও সেকথা বলছি। পুলিশ আর হকার নেতারা গরিব মানুষগুলোর থেকে চাঁদা তুলবেন না।
- হকার ইউনিয়নগুলো আপনারা চাঁদা তোলা বন্ধ করুন। যে যার মতো প্লাস্টিক জমা করছে, গোডাউন বানিয়ে দিচ্ছে। হকার কমিটির এগুলো দেখা উচিত ছিল। স্টলের পাশে গোডাউন বানানোর অধিকার নেই। সে যত বড়ই নেতা হোন, কাউকে ছেড়ে কথা বলছি না।
- ১২৮টি লোকাল ভেন্ডিং কমিটি করা হচ্ছে। হকিং নন হকিং ও রেস্ট্রিক্টেড জোন করা হচ্ছে, প্রতিটি হকার জনের পাশে একটা করে বিল্ডিং থাকবে যেটা প্লাস্টিক ফ্র্রি, যেখানে রাতে হকাররা পণ্যদ্রব্যঃ রাখবে।
- ১ হাজার ৪৫ টি ন্যাচারাল মার্কেট. ৪৪৮৭টি হেরিটেজ মার্কেট আইডেন্টিফায়েড হয়েছে।
- হকার বাজারগুলো সুন্দর করতে হবে। একটা নির্দিষ্ট জোন করা হোক, একটা দিক পুরো ফাঁকা রাখতে হবে। প্লাস্টিক দেবেন না, ফায়ার ফ্রি জিনিস দিয়ে দোকানগুলো ঢেকে রাখবেন। নীল সাদা ফায়ার ফ্রি মেটারিয়ালস দিয়ে স্টল করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
- নিউ মার্কেট, গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে ঘিঞ্জি হয়ে গেছে, পুরসভার সামনেও হকার বসে গেছে ? গড়িয়াহাটে তো হাঁটারই জায়গা নেই। দু’টো ফুটপাথ দখল হয়ে গিয়েছে। এতে আমাদের কাউন্সিলরদের দোষ আছে।
- দুর্নীতি দমন শাখাকে আরো শক্তিশালী করতে হবে, পুলিশের মধ্যে লোভ বেড়ে যাচ্ছে
- স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লোকেদের স্টল দিন যাতে নিজেদের তৈরী জিনিস বিক্রি করতে পারে
- ডাল ভাত মাছ তরকারি খেয়ে সন্তুষ্ট থাকা যাচ্ছে না? এরজন্য নেতা পুলিশ সবচেয়ে বেশি দায়ী। প্রথমে বসাচ্ছেন তারপর বুলডোজার চালাবেন হবে না, যে এলাকায় এটা হবে সেই কাউন্সিলর গ্রেফতার হবে।
- সব জায়গায় ফুটপাথ দখল হয়ে গেছে, সরকারি জমি দখল বরদাস্ত নয়।
- কোনও নেতা যদি ইন্ধন দেন, তাঁকে গ্রেফতার করে নেবেন সঙ্গে সঙ্গে। সে যে দলেরই হোক। কোনও পুলিশ যদি বলে, তাঁকে পুলিশকেও গ্রেফতার করা হবে। ওপরতলার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করবে।
- রাজ্যের পরিচয় নষ্ট হচ্ছে। আমি তো বারণ করি নি। হকারি একটা ব্যবসা। তাঁদের সংসারগুলো চলবে কীভাবে।
- কোভিডের সময়েও ৭ হাজার ৬৭৩ জন হকারকে ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু রাস্তা ফুটপাতই যদি দখল হয়ে যায়, দুর্ঘটনা বাড়ে।
- বেইআইনি পার্কিং জোন তৈরী হয়েছে, এগুলো বন্ধ করে পার্কিং এর একটা আলাদা জায়গা কলকাতার সব প্রান্তে করে দিন।