বার্সেলোনায় প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করলেন মমতা
“প্রধানমন্ত্রী মমতা” বলেই থেমে গেলেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গানের লিড্ দেওয়া ভদ্রমহিলা। ততক্ষণে হল ফেটে পড়েছে হাততালিতে। পরক্ষনেই শুধরে নেন নিজেকে। স্পেন সফরে ক্যাতালোনিয়া অঞ্চলের রাজধানী বার্সেলোনায় প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করতে আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশনেত্রী রূপেই বরণ করে নিলেন এনআরআইরা।
নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলার সৃষ্টি, সংস্কৃতি, বৈচিত্র এবং তার মধ্যেকার ঐক্যের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। একটিবারের জন্যেও কোনোরকম রাজনৈতিক কথা তিনি বলেননি। একই সুতোয় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বার্সেলোনায় থাকা মানুষদের বাঁধলেন মমতা – তাঁদের যেমন বাংলায়, ইংরেজি, হিন্দিতে সম্বোধন করেন তিনি, তেমনই তামিল, তেলুগু, মালিয়ালাম, পাঞ্জাবি, গুজরাটিতেও মানুষকে অভ্যর্থনা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে স্বভাবতই উচ্ছসিত প্রবাসীগণ।
এই আলাপচারিতার সভায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই দেখা যায় স্পেনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীনেশ পট্টনায়ককে, যিনি মুখ্যমন্ত্রীকে “দিদি” বলে সম্বোধন করেন এবং তাঁর বহুমুখী প্রতিভার কথা আগত ব্যক্তিবর্গকে জানান। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা, জনতার কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে তাঁর পদক্ষেপের কথাও জানান তিনি। বাংলা এবং সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন যে তাঁর কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, তা ফুটে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে।
বার্সেলোনা আশার আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে স্পেনের তথা বিশ্বের অন্যতম বোরো ফুটবল ক্লাব রিয়্যাল মাদ্রিদের স্টেডিয়াম সান্তিয়াগো বার্নাবেউতে গিয়েছিলেন মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুনভাবে নির্মাণ করা এই স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে ছিলেন তিন প্রধান, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-মহামেডানের কর্তারা। সেখানে গিয়ে মমতা বলেন যে ফুটবলকে কেন্দ্র করে এত বড় শিল্পের গড়ে ওঠা সত্যিই তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো এবং ভারতে সবথেকে ভালো ফুটবল পরিকাঠামো বাংলাতেই আছে।
ইতিমধ্যেই লালিগার একাডেমির জন্য কলকাতার সন্তোষপুরের কিশোর ভারটরি স্টেডিয়াম তাদের দিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।বাংলার সরকার এবং লালিগা কতৃপক্ষ একসঙ্গে কাজ করছেন যাতে বিশ্বজয়ী লিওনেল মেসিকে কলকাতায় নিয়ে আসা যায় এই একাডেমির উদ্বোধন করাতে।