দুর্গার সঙ্গে হয় নৌকাপুজোও
মায়ের গমন এবার নৌকায়। কিন্তু শুধু এবারের জন্য নয়, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে হাওড়ার মহিয়ারী কুন্ডু চৌধুরী বাড়িতে মহামায়ার সঙ্গে পুজো করা হয় তরণীর। প্রায় ২৭৫ বছর পুরোনো এই পুজোর প্রথা মেনে উল্টোরথের দিন প্রতিমার জন্য বাঁশ কাটা হয়।
মহালয়ার পরেরদিন থেকেই চন্ডিপাঠ হয় এই প্রাচীন অট্টালিকায়। একসময়ে বিশাল রমরমা ছিল কুন্ডু চৌধুরী পরিবারের। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মেদিনীপুর, বর্ধমান জুড়ে ছিল তাদের জমিদারি।
জমিদারি প্রথার অবসান ঘটলে কুন্ডু চৌধুরী বাড়ির বছরজুড়ে বিভিন্ন পুজা-অনুষ্ঠান চালানোর জন্য পরিবারের সদস্যদের দ্বারা এস্টেট তৈরি হয় ১৯২৭ সালে। পুজো পাঠের বিভিন্ন নিয়মের জন্য রয়েছে কুন্ড চৌধুরী বাড়ির ‘পুজো অর্পণ নামা’।
আগে শুধু বাসন্তী পুজো হলেও জাহাজ-নৌকায় করে বাণিজ্য করতে যাওয়ার সময় যাতে পরিবারের সদস্যরা কোনো বিপদের সম্মুখীন না হন, তার জন্য শুরু হয় অকালবোধন এবং তার সঙ্গেই শুরু হয় নৌকা পুজো।
দশমীর দিন পুজো করে পুনরায় নৌকাটিকে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেওয়া হয়। আবার ছয় মাস পর বাসন্তী পুজোর নবমীতে বের করে সাজানো হয় প্রতীকী নৌকোটিকে। বছরে দু’বার মাতৃআরাধনা করেন কুন্ডু চৌধুরীরা।