বইমেলা সব্বার: মাদ্রিদের সঙ্গে মউ সাক্ষর কলকাতার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পেন সফর একের পর এক সুখবর বয়ে আনছে বাংলার জন্য। প্রথমে জারার মত বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডের সঙ্গে মউ সাক্ষর এবং শিল্প প্রস্তাব, তারপর পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ফুটবল লীগ লালিগার সঙ্গে মেমোরান্ডম সাইন করে বাংলায় তাদের ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরি করার প্রস্তাবের পর এবার বইপ্রেমী বাঙালির জন্যে এলো ভালো খবর।
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার মুকুটে ইতিমধ্যেই রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ নন-ট্রেড বইমেলা, এশিয়ার বৃহত্তম এবং সবথেকে বেশি জনসমাগম হওয়া বইমেলার পালক। ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা ও লন্ডন বইমেলার পর এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পুস্তক-উৎসব।
২০০৬ সালে কলকাতা বইমেলাকে ‘গেস্ট অফ অনার’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয় ফ্রাঙ্কফুর্ট পুস্তক মেলায়। মাদ্রিদে ফি বছর অনুষ্ঠিত হয় মাদ্রিদ বইমেলা, এবং এই শহরকে “ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল” উপাধি দেয় ইউনেস্কো।
মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফরে কলকাতা বইমেলার উদ্যোক্তা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড এবং মাদ্রিদ বইমেলার মধ্যে মউ সাক্ষরিত হয়। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী।
মাদ্রিদ বইমেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে – (১) অনুবাদের অধিকার, (২) স্প্যানিশ গ্রান্ট এবং (৩) লেখকত্ব।
এবার থেকে মাদ্রিদ বইমেলায় থাকবে কলকাতার প্রকাশকদের স্টল, এবং কলকাতায় থাকবে স্পেনীয় প্রকাশকদের দোকান।
২০২৩ সালের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার থিম দেশ ছিল স্পেন। ২০২৫ সালে মাদ্রিদ বইমেলার থিম হতে চলেছে ভারত। সেখানে বাংলা বইয়ের আলাদা করে স্টল থাকবে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা নিয়ে বিশেষভাবে উচ্ছ্বসিত স্পেনের সহিত্যমহল। বইমেলা কমিটির সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে তাঁরা নিজেরা উদ্যোগী হবেন কবিগুরুর রচনা স্প্যানিশে অনুবাদ করতে।