১৪০ কোটি পেয়ে খরচ ৭ কোটি, বাকি টাকা কোথায়? প্রশ্ন কীর্তি আজাদের
ডিসেম্বর 12, 2024 2 min read
আবার কীর্তি আজাদের প্রশ্নে বিদ্ধ দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা। দু’দিন পরেই দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি পদে নির্বাচন, সেখানে লড়বেন আজাদ। নির্বাচনের ঠিক আগে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার। প্রাক্তন ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে আজাদের। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছেন তিনি। বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ হয়েছেন তিনি।
এই বারের নির্বাচনে আজাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সভাপতি রোহন জেটলি। এই রোহন জেটলি দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলির পুত্র। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে অরুন জেটলির নামেই রাখা হয়েছে। সেই জেটলি-পুত্রকে নিশানা করেছেন কীর্তি আজাদ।
গত বছর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে ৭০ কোটি টাকা পেয়েছিল দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা। স্পনসর, আইপিএল, বোর্ডের কাছ থেকে ম্যাচ ফি ও টিকিট বিক্রি করে আরও ৬৭ কোটি টাকা রোজগার হয়েছিল গত বছর তাদের। সেই টাকাই নয়ছয় করা হয়েছে বলেই অভিযোগ আজাদের। তিনি বলেন, “বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা প্রতি বছর ১৪০ কোট টাকা পায়। তার মানে প্রতি মাসে ১২ কোটি ও প্রতি দিন ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারে তারা। কিন্তু সেই টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে তার কোনও হিসাব নেই। ক্রিকেটের জন্য মাত্র ৭ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। বাকি টাকা কোথায় গেল?” রোহন জেটলি অবশ্য এই অভিযোগের কোনও জবাবই দেননি।
নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার রোহন জেটলিকে একটি বিতর্কসভায় আহ্বান করেছিলেন আজাদ। বর্তমান সভাপতি যাননি সেই বিতর্কসভায়। আজাদের দাবি, কিছু বলার নেই বলেই আসেননি রোহন। ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্রিকেটার বলেন, “রোহন আমার ছেলের মতো। আমি চেয়েছিলাম ওর সঙ্গে খোলাখুলি একটা বিকর্কসভা করতে। কিন্তু ওরা কেউ এল না। দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার সদস্যেরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে তা বোঝা যাবে।”
দিল্লি ক্রিকেট সংস্থায় নির্বাচন ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, ফল ঘোষণা ১৬ ডিসেম্বর। এইবার ভোট দেবেন মোট ৩৭৪৮ জন সদস্য। ক্ষমতা দখল করে রাখা নিয়ে আশাবাদী রোহন শিবির। তবে আজাদের মতে, পালাবদল হবেই। তিনি বলেন, “পরিবর্তন আসবেই। পরিবর্তন ছাড়া জীবনও চলে না। আমি আত্মবিশ্বাসী। তলায় তলায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে। সকলেই পরিবর্তন চাইছেন।”