মমতাকে ‘ইন্ডিয়া’র মুখ করার সওয়াল কল্যাণের
নভেম্বর 25, 2024 < 1 min read
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। তার আগে হরিয়ানাতেও আশানুরূপ ফল করতে পারেনি দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতৃত্ব নিয়ে ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ইন্ডিয়া জোটকে নেতৃত্ব দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইগো ছেড়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ইন্ডিয়া জোটের নেত্রী হিসেবে সামনে আনা উচিত।লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দিতে গত বছরের মাঝামাঝি বিরোধী দলগুলি ইন্ডিয়া জোট তৈরি করে।
কিন্তু, বিভিন্ন রাজ্যে আসনরফা নিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে আসনরফা হয়নি কংগ্রেসের। পশ্চিমবঙ্গে তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ইন্ডিয়া জোটের শরিক সিপিএম বাংলায় কংগ্রেসের হাত ধরেছিল।লোকসভা নির্বাচনে আগে বাংলায় রাহুলের ন্যায়যাত্রা নিয়েও কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে চাপানউতোর বাড়ে। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাহুলের ন্যায়যাত্রা বাংলায় প্রবেশের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল কংগ্রেসের।
লোকসভা ভোটের প্রচারে মমতাও বলেছিলেন, ইন্ডিয়া জোট তিনি তৈরি করেছেন। নামও তাঁর দেওয়া।বাংলার ৬ আসনে উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ে উচ্ছ্বসিত কল্যাণ মনে করিয়ে দেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে মানুষের ভরসা, বিশ্বাস, আস্থার নাম মমতা। সে কারণেই এখানে বিরোধীদের কোনও জায়গা নেই। বিরোধীরা ছয়ে শূন্য পেয়েছে। আগামী দিনে দেখবেন পশ্চিম বাংলায় কোনও বিরোধী দলনেতাও থাকবে না।’
সময় যত গড়িয়েছে মূলত কংগ্রেসের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে মতের অমিলের কারণে ধীরে ধীরে ইন্ডিয়া জোটের রাস্তায় কিছুটা হলেও মেপে পা ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৃণমূল নেত্রী একাধিকবার প্রশ্নও তুলেছেন। তবুও হাত শিবিরের উপর আস্থা রেখেই একজোট বিরোধীরা। সে কারণেই এমন হাল বলে মনে করছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ।