ডাক্তারদের ধর্নায় হামলার চক্রান্ত! গ্রেফতার সিপিএমের কলতান
সল্টলেক সেক্টর-৫-এ স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়ার চিকিৎসকদের ধর্না মঞ্চে আক্রমণ করার চক্রান্ত চালানো হচ্ছে, যার কল রেকর্ডিং গতকাল প্রকাশ্যে এসেছিল। এবার সেই ভাইরাল অডিও ক্লিপের “ক” নামক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করলো পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সিপিএম নেতা ও ডিওয়াইএফআইয়ের মুখপত্রের সম্পাদক কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই বিস্ফোরক অডিও প্রকাশ করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ, যেখানে দেখা যায় যে যে দুই ব্যক্তির মধ্যে এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা হচ্ছে, তাদের একজনের নাম “স”, অন্যজনের নাম “ক”। সেই সূত্রে গতকালই গ্রেফতার হন নক্সাল নেতা সঞ্জীব দাস। এবার অবশেষে সেই “ক”ও পুলিশের জালে।
লালবাজার অভিযান করতে গিয়ে পুলিশের উচুঁ ব্যারিকেড টপকাতে না পেরে সেখানেই রাত্রিযাপন করেন সিপিএমের কর্মী, সমর্থকরা, যাদের সঙ্গে ছিলেন লাল পার্টির হয়ে টিভিতে গলা ফাটানো পরিচিত মুখ কলতান। কিন্তু ভোর ৫টা নাগাদ ধর্নাস্থল থেকে তাকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়, এমনটাই জানা যাচ্ছে বাম কর্মীদের সূত্রে।
এরপর আরেক সিপিএম নেতা সংগ্রাম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ট্যাক্সি ধরে দক্ষিণ কলকাতার দিকে রওনা হন কলতান, কিন্তু টালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে তার ট্যাক্সি ঘিরে ফেলে পুলিশ, যেখানে আটক করা হয় দুজনকেই। কিছুক্ষণ পরে সংগ্রামকে ছেড়ে দেওয়া হলেও কলতানকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ হওয়ার সময়ই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে কিছু দুষ্কৃতী মারফৎ আক্রমণ চালিয়ে সব দোষ তৃণমূলের ঘাড়ে চাপানোর চক্রান্ত করছে বামেরা। ঠিক যেভাবে ১৪ই আগষ্ট রাতে আরজি কর মেডিকেল কলেজে আক্রমণ চালায় তারা, কিন্তু তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাতে গিয়েই ধরা পড়ে যায়।
এহেন সন্ত্রাসবাদী নেতার পাশে দাঁড়াচ্ছে সিপিএম। জানা গেছে, দলের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য করা হবে কলতানকে।