অভিজিত গাঙ্গুলি – বিচারক না রাজনীতিবিদ?
স্কুল চালাতে না পারলে আদানিকে বেচে দিন! এমন বক্তব্য কে দিতে পারে? কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কিংবা যে কোম্পানিকে স্কুল বেচতে বলছেন সেই কোম্পানির দালাল। কিন্তু অবাক করার মত বিষয়, এই বক্তব্য আর কারোর নয়, খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ডের অধিনস্ত স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের ঠিক করে মাইনে হচ্ছেনা বলে গত ৩১শে জুলাই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন – “শিক্ষকদের এই অবস্থা? স্কুল চালাতে না পারলে আদানিকে বেচে দিন।”
শুধু তাই নয়, এমন রাজনৈতিক টিপ্পনি কাটতে আগেও দেখা গেছে এই বিচারপতিকে।২০২২ সালের ২০শে মে তিনি বলেন – “সুযোগ হলে গান্ধী পরিবারের সম্পত্তির হিসেবও চাইতে পারি।”
২০২৩ সালের ২৫শে জুলাই বিরোধী দলনেতা স্টাইলে CBI কর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন – “সিবিআইয়ের গা ছাড়া মনোভাব দেখলে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জানাব।”
২০২৩ সালের ২৮শে জুলাই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশাসনকে পরামর্শ দেন, “দরকার পড়লে যোগী আদিত্যনাথের থেকে বুলডোজার ভাড়া করে আনুন।”
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, একজন বিচারপতি হয়ে তিনি কিভাবে এরকম মন্তব্য করতে পারেন?
আমরা এখন মিডিয়ায় বাঁচি, অভিজিৎ বাবুর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হচ্ছে না। তবে সাংবিধানিক পদে থেকে এমন রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট মন্তব্য আইনব্যবস্থার পরিপন্থী, মনে করছেন আইন বিশারদরা।