বাংলা বিভাগে ফিরে যান

ঝাড়গ্রামের কনক দুর্গা মন্দিরে অষ্টমীর ভোগ নিজেই রাঁধেন দুর্গা!

অক্টোবর 7, 2024 | < 1 min read

সাজো সাজো রব ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড় কনক দূর্গা মন্দিরেও। এবারও প্রথা মেনেই পুজো হবে এই ঐতিহ্যবাহী দুর্গা মন্দিরে। তবে জানেন কি, এই মন্দিরের মা দুর্গা কিন্তু দশভূজা নন। দেবী এখানে অশ্বারোহিণী চতুর্ভূজা। চারশো বছরেরও বেশি সময় ধরে পুজো হয়ে আসছে এখানে।ঝাড়গ্রাম শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে জঙ্গল। পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ডুলুং নদী। সেখানেই রয়েছে মায়ের মন্দির। চিল্কিগড়ের সামন্ত রাজা গোপীনাথ সিংহ স্বপ্নাদেশ পেয়ে রানির হাতের সোনার কাঁকন দিয়ে দেবী দুর্গার মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন ও মন্দির স্থাপন করেছিলেন।

তবে, এখানকার পুজোর নিয়মকানুন একেবারেই আলাদা।  দুর্গাপুজোর চার দিন বিশেষ রীতি আচার মেনে পুজো চলে ঝাড়গ্রামের কনক দুর্গা মন্দিরে। এই চার দিন দেবীকে হাঁসের ডিম, মাছ পোড়া, শাক ভাজা ও পান্তা ভাতের ভোগ নিবেদন করা হয়। মহাষ্টমীতে হাঁসের ডিমের ভোগ দেওয়া হয়। নতুন মাটির হাঁড়িতে জল ও অন্য়ান্য সামগ্রী ভরে শালপাতা দিয়ে হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে উনুনে চাপিয়ে দেওয়া হয়।

উনুনে তিনটি কাঠে আগুন জ্বেলে ঘরের দরজা তালাচাবি দিয়ে বন্ধ করা হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস দেবী স্বয়ং এসে এই ভোগ রান্না করেন। নবমীর অন্নভোগের আগে বলির মাংস নতুন মাটির হাড়িতে সেদ্ধ করে রাখা হয়। অষ্টমী পুজোর পর গভীর রাতে জঙ্গলের ভেতরে বলির আয়োজন করা হয়। তিথি-নক্ষত্র মেনেই বলি দেওয়া হয়। সেখানে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকে না।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

ধেনুয়া গ্রামে এক দিনেই শেষ দুর্গাপুজো! বোধনের দিনেই বিসর্জন
FacebookWhatsAppEmailShare
রানাঘাটের এই পুজোতে নবমীতে হয় কাদা খেলা
FacebookWhatsAppEmailShare
নবমীতে অসুরদের উদ্দেশে ‘মাসভক্তবলি’ পুজো অর্পণ করা হয় সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের পুজোয়
FacebookWhatsAppEmailShare