বাংলা বিভাগে ফিরে যান

রেশনে চাল-গম দিতে সরকারের কত টাকা খরচ হচ্ছে, এবার থেকে লেখা থাকবে গ্রাহকদের স্লিপে

নভেম্বর 6, 2024 | 2 min read

রেশনে চাল-গম দিতে সরকারের কত টাকা খরচ হচ্ছে এবার থেকে তা গ্রাহকদের স্লিপে উল্লেখ থাকবে। রেশন দোকানের ই-পস যন্ত্র থেকে কাগজের এই স্লিপ বেরোয়। যেহেতু রেশন গ্রাহকরা চাল-গম বিনামূল্যেই পান, তাই ওই স্লিপে দামের কোনও উল্লেখ থাকে না। মোট কী পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হল সেই তথ্যই স্লিপে পাওয়া যায়। কিন্তু নভেম্বর থেকেই এর পরিবর্তন হচ্ছে। উপভোক্তাদের যে পরিমাণ খাদ্যশস্য দেওয়া হবে, তার পাশাপাশি সেই খাদ্যশস্যের পিছনে কেন্দ্র এবং রাজ্যের খরচের শেয়ার কতটা, তারও উল্লেখ থাকবে।

কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা আসার পরই এ বিষয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের খাদ্য দফতরের তরফে৷ সাধারণত খাদ্যশস্য রেশন থেকে উপভোক্তাদের দেওয়ার পর এই খাদ্যশস্যের পরিমাণ ই-পস মেশিনের স্লিপের মাধ্যমে উপভোক্তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এবার সেই স্লিপেই দেওয়া থাকবে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার লোগো । কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই লোগো ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই মুহূর্তে রেশন দোকান থেকে যে সমস্ত সামগ্রী দেওয়া হয়, তার জন্য কোনও অর্থমূল্য নেওয়া হয় না। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ফ্রি রেশন চালু রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারও প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে গরিব মানুষকে ফ্রিতে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তাই ই-পস মেশিন থেকে বের হওয়া বিলে কোনও অর্থের উল্লেখ থাকে না।

তার বদলে সেখানে থাকে কোন খাদ্যশস্য কী পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে সেই তথ্য। কিন্তু এখন প্রতি কেজিতে ফ্রি রেশন দেওয়ার জন্য তাদের কত খরচ করতে হচ্ছে, তা লিখিতভাবে উল্লেখ করার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এই খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার যৌথভাবে ব্যয় বহন করে। রাজ্য প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কেন কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয়ের উল্লেখ এককভাবে এই বিলে থাকবে। সেই জায়গা থেকেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে উভয়ের খরচের পরিমাণ স্লিপে উল্লেখ করা হবে।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার সমস্ত খরচ কেন্দ্রীয় সরকার এককভাবে বহন করে এ কথা সত্যি নয়। এক্ষেত্রে রাজ্যকে রেশন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটারদের কমিশন এবং পরিবহণ খরচ বহন করতে হয় । এর পাশাপাশি আরকেএসওয়াই ওয়ান এবং আরকেএসওয়াই টু-এর অধীনে যে খাদ্যশস্য উপভোক্তাদের দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে সমস্ত খরচ বহন করতে হয়। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার সমস্ত খরচ বহন করে রাজ্য। আর সে কারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে কেন্দ্রীয় খরচের খতিয়ান যেমন স্লিপে থাকবে, একইভাবে রাজ্য সরকার উপভোক্তাদের জন্য কত টাকা খরচ করছে, তার হিসাবও দেওয়া থাকছে সেখানে।”

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

আজ আরজি কর মামলার শুনানি
FacebookWhatsAppEmailShare
‘বিজেপির সদস্য হলে মহিলারা পাবেন অন্নপূর্ণা যোজনার ৩০০০ টাকা’, বেফাঁস মন্তব্য সুকান্তর
FacebookWhatsAppEmailShare
ভূমিহীনদের বাড়ি করে দিচ্ছে রাজ্য, ২ কাঠা করে জমি পাবেন
FacebookWhatsAppEmailShare