ভাইফোঁটার ইতিহাস জানেন?
আগামীকাল ভাইফোঁটা। নতুন জামা কাপড় পরে দিদিরা ভাইদের কপালে ফোঁটা দিতে দিতে বলবে, “ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা”।
কার্তিক মাসের অমাবস্যার পরে দ্বিতীয়া তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় ভাতৃদ্বিতিয়া। ধান, দূর্ব, প্রদীপ দিয়ে সাজানো থালা নিয়ে ভাইদের মঙ্গলকামনায় বসেন দিদিরা।
চতুর্দশ শতাব্দীতে সর্বানন্দসুরী নামক এক পন্ডিতের পুঁথি ‘দীপোৎসবকল্প’ জানাচ্ছে যে জৈন ধর্মের প্রচারক মহাবীর বর্ধমানের মহাপ্রয়াণের পর তাঁর অন্যতম মিত্র এবং সঙ্গী রাজা নন্দীবর্ধন মানসিক এবং শারীরিক ভাবে খুবই ভেঙে পড়েন এবং বন্ধ করে দেন খাওয়া-দাওয়া। এতমবস্থায় তাঁর বোন অনসূয়া তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে।
রাজাকে রাজতিলক পরিয়ে বোন অনসূয়া রাজাকে তাঁর কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই গল্পকেই ভাইফোঁটার উৎস বলে মনে করা হয়। মহাবীরের মহাপ্রয়াণ ঘটেছিল খ্রিস্টপূর্ব ৫২৭ অব্দে, তাই সেই সময়কেই ভাইফোঁটার শুরুর সময় ধরা যায়।
হিন্দু শাস্ত্র মতে বলরামের সঙ্গে বিবাহের আগে যমুনা নিজের দুই ভাই মনু এবং যমকে ফোঁটা দিয়ে তাঁদের মঙ্গলকামনা করেছিলেন। নরকাসুর বধের পর শ্রীকৃষ্ণকে ফোঁটা দিয়েছিলেন বোন সুভদ্রা, এমনটাও বলা হয়।