কুস্তির ইতিহাসে বাঙালি
নারী সুরক্ষার দাবিতে, ঘুন ধরা সিস্টেমের সংস্কারে বিনেশ, সাক্ষী বা বজরংরা আজ রাজপথে, কিন্তু এটা জানেন কি নারী শিক্ষার প্রবক্তা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে স্বামী বিবেকানন্দ ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও, সকলেই নিয়মিত কুস্তি চর্চা করতেন!
গোবর গোহ তথা যতীন্দ্রচরণ গোহ ১৯২১ সালে সান ফ্রানসিস্কোয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অ্যাড স্যান্টেলকে হারিয়ে তার শিরোপা নিজের দখলে নেন। অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, তার ওপর কালো দলাপাকানো চেহারা দেখে এই অদ্ভুত নাম রেখেছিলেন গোবর গোহর পিতা রামচরণ।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সেজদাদা হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের উৎসাহে হীরা সিং নামে এক পালোয়ানের কাছে শিখেছিলেন কুস্তি। রামকৃষ্ণদেব ও স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর শিষ্যদের নিয়ে কুস্তি লড়তেন। সংস্কৃত কলেজে কুস্তিচর্চায় যোগ দিতেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও। পরাধীন ভারতে কুস্তিচর্চার পাশাপাশি কুস্তির আখড়াগুলো হয়ে উঠেছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গোপন আস্তানা।