দেশ বিভাগে ফিরে যান

৩৫ দিনের ধর্নায় লক্ষাধিক খরচ কুস্তিগিরদের

জুন 1, 2023 | 2 min read

২৩ এপ্রিল থেকে যন্তর মন্তরে ধর্নায় কুস্তিগিরেরা। অবশেষে ২৮ মে দিল্লি পুলিশের হস্তক্ষেপে
সেখান থেকে উঠতে বাধ্য হয়েছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটরা। এই ৩৫ দিনের ধর্নায় খরচ হয়েছিল লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই টাকা এসেছিল কোথা থেকে? কুস্তিগিরেরা কি নিজেরাই সব খরচ করেছিলেন? নাকি অন্য কোথাও থেকে সাহায্য এসেছিল তাদের কাছে।

ধর্নায় বিনেশের সঙ্গ দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী সোমবীর রাঠি। সোমবীর জানিয়েছেন, ‘‘ধর্না শুরু করার পরে পাঁচ দিনেই আমাদের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল। কারণ, গদি, বিছানার চাদর, স্পিকার, মাইক কিনতে হয়েছিল। তা ছাড়া খাবার, জলের খরচ আছে।’’

শুরুতে গদি, মাইক, স্পিকার সব ভাড়ায় নিয়েছিলেন কুস্তিগিরেরা। তার জন্য প্রতি দিন খরচ হচ্ছিল ২৭ হাজার টাকা। ধর্না অনেক দিন চলবে বুঝতে পেরে কিছুদিন পর সব কিছু কেনার সিদ্ধান্ত নেন। সোমবীর বলেন, ‘‘আমি ৫০ হাজার টাকায় গ্রাম থেকে ৮০টা গদি কিনে আনি। তার আগে গদির জন্য প্রতি দিন ১২ হাজার টাকা করে ভাড়া গুনতে হচ্ছিল। মাইক ও স্পিকারের জন্যও প্রতি দিন ১২ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছিল। তাই দিল্লির চাঁদনি চক থেকে ৬০ হাজার টাকায় স্পিকার ও মাইক কেনা হয়।’’

কয়েক জন কোচ আখড়ায় রান্না করে খাবার পাঠিয়েছেন। অন্য কোচেরা দলের জোগান দিয়েছেন। এক জন কোচ ধর্না চত্বর পরিষ্কারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দল, বা অন্য কারও কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য তাঁরা নেননি।

ধর্না শেষে ফিরে যাওয়ার সময় কোনও গুরুদ্বার বা মন্দিরে সেই সব স্পিকার, মাইক, গদি তাঁরা দান করে যাবেন বলে জানিয়েছেন সোমবীর। তিনি বলেছেন, ‘‘গুরুদ্বার বা মন্দিরে গদি, মাইকের প্রয়োজন হয়। তাই ওগুলো আমরা দিয়ে যাব। আশা করি তাতে অনেকের উপকার হবে।’’

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

অযোধ্যা মামলার সময় ঈশ্বরের দ্বারস্থ হন খোদ প্রধান বিচারপতি
FacebookWhatsAppEmailShare
মাদ্রাসাগুলিকে অর্থ সাহায্য বন্ধ করা চলবে না, এনসিপিসিআরের সুপারিশে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ
FacebookWhatsAppEmailShare
ওষুধের ৫০% পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি নিয়ে মমতা চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রীকে
FacebookWhatsAppEmailShare