মেঘালয়ের জোট সরকার কি তৃণমূলের নেতৃত্বে?
এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির আলোচ্য বিষয় ত্রিপুরা, মেঘালয় আর নাগাল্যান্ডের নির্বাচন। আর বাংলা ছেড়ে বাইরের রাজ্যে ঘাসফুল ফোটাতে এখন মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস, কারণ লক্ষ্য ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর এই বিষয়ে বেশ কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল। গোয়ায় আশানুরূপ ফল না হলেও চেষ্টায় কোন ত্রুটি রাখছেন না তারা।
ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে জোরকদমে প্রচার চালিয়েছে দল। তবে গতকাল মেঘালয়ের ভোট শেষের পর বুথ ফেরত সমীক্ষা (Meghalaya Exit poll) এসেছে আর তাতে পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে। কারণ, একাধিক সংস্থার এক্সিট পোল আভাস দিয়েছে মেঘালয়ে জোট সরকার হতে পারে আর তাতে আসল ভূমিকা হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের।
মেঘালয়ের ৬০ টি আসনের মধ্যে এবার ৫৯টি আসনে ভোট হয়েছে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় এটুকু স্পষ্ট যে এবার কোন দলই ম্যাজিক ফিগার ৩১ ক্রস করতে পারবে না। ওভারঅল সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে , তৃণমূল ১৩-১৫টি আসন পেতে পারে, ইউডিপি ৭-৮টি, কংগ্রেস ৩-৪টি, আর অন্যান্যরা ২-৪ টি আসন পেতে পারে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল, ইউডিপি ও কংগ্রেস মিলে ত্রিশঙ্কু সরকার গঠন করতে পারে মেঘালয়ে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি রাহুল গান্ধী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বাকযুদ্ধ হলেও আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলিকে বিশেষ বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যে আবারও কাছাকাছি আসতে পারে তৃণমূল আর কংগ্রেস। আর সেটা হলে রাজ্য রাজনীতিতে এক নতুন নতুন সমীকরণ তৈরী হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালেও মেঘালয়ের কুর্সিতে জোট সরকারই বসেছিল, এনপিপির সঙ্গে জোট বেঁধে মেঘালয়ের ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি (BJP)।কিন্তু মুকুল সাংমার নেতৃত্বে সেই কংগ্রেসের এক ডজনের বেশি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় গত দেড় বছর ধরে তৃণমূলই খাতায় কলমে মেঘালয়ের বিরোধী দল। তাই শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের নেতৃত্বে ত্রিশঙ্কু সরকার গঠন হয় কিনা তা বলবে আগামী ২ রা মার্চের নির্বাচনের ফলাফল।