পুজোয় ‘দুয়ারে উপহার’ কর্মসূচি অভিষেকের
জানা গিয়েছে, গত বছর পর্যন্ত পুজোর আগে অভিষেকের উপহার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হত ডায়মন্ডহারবার লোকসভার অধীন ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে। যেখানে সাংসদ স্বয়ং উপস্থিত হয়ে পুজোর উপহার তুলে দিতেন আমজনতার হাতে। কিন্তু উপহার দেওয়ার এই পদ্ধতিতে এ বার বদল আনা হয়েছে। কেন আনা হচ্ছে বদল? তৃতীয় বারের জন্য সাংসদ হওয়ার পর এবছর লোকসভা ভোটের পরে জুন মাসে আমতলার দলীয় কার্যালয়ে ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে বৈঠক করেছিলেন অভিষেক। সেই বৈঠকেই ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে, তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, নেতাদের থেকে মঞ্চের ওপরে কেন উপহার নেবেন সাধারণ মানুষ? বহু ক্ষেত্রে নেতারা উপহার দেওয়ার মুহূর্তের ছবি তুলে তা প্রকাশ্যে ছড়িয়ে দেন।
যা না-পসন্দ তাঁর। অভিষেকের বক্তব্য ছিল, যদি উপহার দিতেই হয়, তা হলে তা পৌঁছে দিতে হবে সাধারণ মানুষের বাড়ি গিয়ে। তার পরেই এ বছর পুজোর উপহার ভিন্ন আঙ্গিকে দেওয়া হবে বলে মনস্থির করেন অভিষেক। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ বছর সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার পৌঁছে দিচ্ছেন ডায়মন্ডহারবার লোকসভা এলাকার বুথ স্তরের তৃণমূল নেতারা। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অভিষেকের উপহার’। শুধু তাই নয়, ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে রবিবার তলিয়ে যাওয়া মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন অভিষেক। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই অর্থ পৌঁছে দেন মথুরাপুরের সংসদ বাপি হালদার। গত শুক্রবার রাতের বঙ্গোপসাগরে মিনিট খানেকের টর্নেডো হয়ে উঠেছিল প্রাণঘাতী।
ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে বাবা গোবিন্দ নামে একটি ট্রলারটি উলটে যায়। তাতে ছিলেন নজন মৎস্যজীবী। তাঁদের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। রবিবার সেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারটিকে উদ্ধার করে চরে আনার পর কেবিনের ভিতর থেকে ৮ জন মৎস্যজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এখনও ওই ট্রলারের এক মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতদেহ সৎকার ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ছাড়াও আপাতত শোকার্ত পরিবারগুলি যাতে কিছুদিন সংসার চালাতে পারে, তার জন্য সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাপি হালদারের মাধ্যমে অর্থ সাহায্য করেন।
সাংসদ বাপি হালদার জানান, মৃত ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের শোকার্ত পরিবারের পাশে তাঁরা সবসময় রয়েছেন। এহেন উদ্যোগ অভিষেকের প্রথম নয়। করোনা পরিস্থিতির সময়ও ডায়মন্ড হারবার এলাকার মানুষের জন্য বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল।