বাংলা বিভাগে ফিরে যান

নিট বাতিল করুন: মোদীকে চিঠি মমতার

জুন 24, 2024 | 2 min read

‘নিট’ বিতর্কে জাতীয় রাজনীতি যখন উত্তাল এই আবহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষার ভার রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়া হোক।

তিনি লেখেন, ‘পেপার ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে যে অভিযোগ, ঘুষ নেওয়া সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা দরকার। এই পরিস্থিতির জেরে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী যারা মেডিক্যাল কোর্সে ভর্তির জন্য স্বপ্ন দেখছিলেন তা ধাক্কা খেয়েছে। ’কার্যত মেডিক্য়াল এন্ট্রান্স পরীক্ষার ভার রাজ্য়ের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে চিঠি লিখলেন মমতা।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘পেপার ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে যে অভিযোগ, ঘুষ নেওয়া সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা দরকার। এই পরিস্থিতির জেরে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী যারা মেডিক্যাল কোর্সে ভর্তির জন্য স্বপ্ন দেখছিলেন তারাও ধাক্কা খেয়েছেন। এর জেরে যে শুধু মেডিক্য়াল শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এমনটা নয়, গোটা দেশ জুড়ে স্বাস্থ্য় ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কেবল ধনীদেরই সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। গরিব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মেধাবী পড়ুয়ারা এই ব্যবস্থার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

২০১৭ সালের আগে রাজ্য় সরকার তাদের মতো করে পরীক্ষা নিত আর কেন্দ্রীয় সরকারও তাদের মতো করে পরীক্ষা নিত। সেই সিস্টেমে কোনও সমস্যা ছিল না। এতে আঞ্চলিক সিলেবাস অনুসারে ও শিক্ষার মান অনুসারে কাজ করা হত। একজন চিকিৎসক পড়ুয়ার শিক্ষা ও ইন্টার্নশিপের জন্য রাজ্য় সরকার মোটামুটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করে। সেক্ষেত্রে রাজ্যকেও জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়ার অধিকার দেওয়া হোক। এই বিকেন্দ্রীকরণ করতে গিয়ে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আঘাত লেগেছে। আর বর্তমান ব্যবস্থাতে বিরাট দুর্নীতি হয়েছে। এই পরীক্ষায় তারাই সুবিধা পেয়েছে যারা ধনী, টাকাপয়সা দিতে পেরেছেন। আর গরীব আর মধ্যবিত্ত পরিবারের পড়ুয়াদের ভুগতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে অনুরোধ আগের সিস্টেমটা আবার ফিরিয়ে আনুন। আর এই NEET সিস্টেমটাকে বন্ধ করে দিন। এর ফলে যারা পরীক্ষা দিতে চান তাদের মধ্যে আবার উৎসাহ ফিরে আসবে।”

এর আগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীও এই ধরনের দাবি করেছিলেন। এবার বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীও একই দাবি তুললেন।

উল্লেখ্য, নিটে ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ৭২০-তে ৭২০ পাওয়ার পর থেকেই বিতর্কের শুরু। এর মাঝেই নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। বহু প্রভাবাশালী ব্যক্তি এই চক্রের পেছনে যুক্ত আছেন বলে নানা তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপ দিতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলো। শনিবারই নিট কেলেঙ্কারির তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

সঙ্কটে মুকুল রায়
FacebookWhatsAppEmailShare
চুক্তিভিত্তিক শিক্ষাকর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা রাজ্যের
FacebookWhatsAppEmailShare
রথযাত্রার দিন রাজ্য জুড়েই বৃষ্টির পূর্বাভাস
FacebookWhatsAppEmailShare