দুর্গা পুজো বিভাগে ফিরে যান

দুর্গাপূজা ঘিরে উৎকণ্ঠা বাংলাদেশে

সেপ্টেম্বর 29, 2024 | < 1 min read


সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা সমাগত। কিন্তু এই উৎসবকে ঘিরে তেমন কোনো উৎসাহ নেই। বরং পূজা নিয়ে শঙ্কা ও ভয় বাড়ছে। বাংলাদেশে এখন উগ্রবাদীদের জয়জয়কার। তারা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ নিয়ে মাঠে নেমেছে। কখনো চাঁদা দাবি করছে। কখনো নতুন নতুন ফতোয়া জারি করছে। মাত্র কয়েকদিন আগে একটি ধর্মীয় সংগঠন প্রতিমার পূজা করা যাবে না এবং বিসর্জন দেওয়া যাবে না বলে ফতোয়া দিয়েছে। সেই সঙ্গে দুর্গাপূজার সময় কোনও ছুটি দেওয়া যাবে না বলেও দাবি তুলেছে। ভারত যেহেতু বাংলাদেশের ‘জাতীয় শত্রু’ তাই এদেশের হিন্দু নাগরিকদেরও ভারতবিরোধী হতে হবে বলেও দাবি করেছে তারা। এই কারণে, ভারত-বিরোধী ব্যানার এবং স্লোগান মন্দিরে রাখা উচিত বলেও দাবি তাদের।

‘দুর্গাপুজো সর্বজনীন নয়। বরং এমন দাবি করার অর্থ অন্য ধর্মকে অবমাননা করা।’ লিফলেট জারি করে বাংলাদেশ জুড়ে এমনই ফতোয়া জারি করল ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা। সংস্থার আহ্বায়ক মুহম্মদ আরিফ আল খাবিরের নামে শনিবার একটি দু’পাতার লিফলেট সারাদেশে বিলি করা হয়েছে। তাতে দুর্গাপুজো করা নিয়ে ১৬ দফা ফতোয়া জারি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফে। সেখানে পরিষ্কারভাবে লেখা হয়েছে, কোনও মন্দিরে দুর্গা পুজোকে সর্বজনীন উল্লেখ করে সাইন বোর্ড টাঙানো যাবে না। কারণ, ধর্ম যার যার, উৎসবও তার তার।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের অবসানের পর থেকেই সেদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। দুর্গাপুজো করার জন্য বিভিন্ন ক্লাবের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল একাংশ মানুষের বিরুদ্ধে। ঢাকার উত্তরাতেও দুর্গা পুজো করা নিয়ে আপত্তি তুলেছে এলাকার একাংশ মানুষ। তাঁরা জানিয়েছে, পার্কে পুজো করা যাবে, বাজানো যাবে না মাইক, কারণ, তাতে নমাজে সমস্যা হয়।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

উৎসবে থাকবে না কিন্তু পুজোয় পাড়ায় পাড়ায় বামেদের বুক স্টল
FacebookWhatsAppEmailShare
মহিষের রক্ত দিয়ে লেখা পুঁথি পাঠ হয় এ বাড়ির পুজোয়
FacebookWhatsAppEmailShare
৩৪৩ বছরের এই দুর্গার সিংহ আছে, কিন্তু লক্ষ্মী সরস্বতীর বাহন নেই
FacebookWhatsAppEmailShare