দেশ বিভাগে ফিরে যান

কে কী খাবেন, তা ঠিক করা সরকারের কাজ নয়: মুখতার আব্বাস নকভি

এপ্রিল 18, 2022 | < 1 min read

দেশে ক্রমাগত বেড়ে চলা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা, হিংসা, একের পর এক গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একযোগে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন ১৩টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

তারপরেই মোদী সরকারের তরফে বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিতে আসরে নামেন কয়েক জন মন্ত্রী। এরই মধ্যে একটি সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখতার আব্বাস নকভি দাবি করেন, নিজেদের ধর্মবিশ্বাস পালন করার স্বাধীনতা রয়েছে ভারতীয়দের। সংখ্যালঘুদের উপরে ক্রমশ বেড়ে চলা নির্যাতনের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসবের সময় গোমাংস তো বটেই, আমিষ খাওয়ার উপরেও বিভিন্ন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের জারি করা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে উপেক্ষা করে নকভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘কে কী খাবেন বা খাবেন না, তা বলা সরকারের কাজ নয়। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের স্বাধীনতা রয়েছে নিজেদের পছন্দের খাবার খাওয়ার।’’

শুরুটা হয়েছিল মোদী ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই। কখনও গোমাংস খাওয়ার ‘অপরাধে’ মুসলিমদের মারধর, কখনও গোমাংস বহনের ‘অপরাধে’ দলিতদের মারধর।

বছরখানেকের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গোমাংস খাওয়ার ‘অপরাধে’ এক মুসলিম ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেই শুরু। তার পরে বিজেপি-শাসিত গুজরাত-উত্তরপ্রদেশ-হরিয়ানা-মধ্যপ্রদেশ-বিহারে এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। অতি সম্প্রতি হরিয়ানার একাধিক এলাকা এবং দিল্লির কয়েকটি পুর এলাকায় রামনবমী উপলক্ষে আমিষ খাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তার পর পরই রামনবমীর মধ্যে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের খাবারে আমিষ পরিবেশন নিয়ে আপত্তি তুলে একাধিক পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র বিরুদ্ধে।

মোদীর আমলে একের পর এক ঘটনায় অসহিষ্ণুতা এবং বিভাজনের রাজনীতির দিকেই বারবার আঙুল উঠেছে।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

বিশ্বের ১১০ কোটি অতি দরিদ্রের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি থাকেন ভারতেই!
FacebookWhatsAppEmailShare
দিল্লি এইমসে যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক, বিচারের জন্য প্রতিবাদ হবে তো সারা দেশে?
FacebookWhatsAppEmailShare
ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ, চিন্তায় তসলিমা নাসরিন
FacebookWhatsAppEmailShare