দেশের অর্ধেক কৃষিজীবী মানুষ ঋণগ্রস্ত, তথ্য উঠে এলো কেন্দ্রীয় সমীক্ষায়
২০১৯ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে বিজেপি দাবি করেছিলো যে তারা ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করবে। কিন্তু এই দাবিকে ফাঁপা এবং মিথ্যা প্রমাণ করে ভিন্ন কথা বলছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনএসও-র একটি সমীক্ষা।
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ২০১৩ সালের থেকে ২০১৮ সালে ভারতবর্ষের কৃষক পরিবারগুলির ঋণের মাত্রা বেড়েছে ৫৭.৭%! দেশের সমগ্র কৃষক পরিবারদের ৫০.২%-ই ঋণের জালে জড়িয়ে।
প্রতি পরিবারের গড় ঋণের মাত্রা ২০১৩ সালে ৪৭,০০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়ে গেছে ৭৪,১২১ টাকা। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে কৃষিজীবী পরিবারগুলির নিয়ে সমীক্ষা করা হয়।
‘এনএসও’ জানিয়েছে, ২০১৮-১৯ সালের আর্থিক বছরে প্রতিটি কৃষিজীবী পরিবারের গড়ে মাসিক আয় ছিল ১০,২১৮ টাকা, যার মধ্যে মজুরি ছিল ৪০৬৩ টাকা, শস্য উৎপাদনের জন্য ৩৭৯৮ টাকা, পশুপালন করে ১৫৮২ টাকা, কৃষি ব্যতীত কাজের জন্য ৬৪১ টাকা ও জমি লিজ দিয়ে পাওয়া যেত ১৩৪ টাকা।
এই ঋণের ৬৯.৬% নেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্ক জাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে। আর, ২০.৫% ঋণ নেওয়া হয়েছে পেশাদার ঋণদাতাদের থেকে।
বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় ঋণের মাত্রা পরিবারপিছু ১.৮২ লক্ষ টাকা! আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্ণাটকে ঋণের মাত্রা প্রতি পরিবারের গড়ে ১.২৬ লক্ষ।
অপর একটি রিপোর্টে ‘এনএসও’ জানায়, ২০১৮ সালের ৩০ জুনের হিসাব অনুযায়ী গ্রামাঞ্চলে ৩৫% পরিবার ছিল ঋণগ্রস্ত। তাদের মধ্যে কৃষিজীবী পরিবার ৪০.৩% এবং অন্যান্য পেশায় যুক্ত পরিবার ২৮.২ শতাংশ।
শহরে ২২.৪% পরিবার ঋণগ্রস্ত। তাদের মধ্যে ২৭.৫% পরিবার স্বনিযুক্ত। অন্যান্য ঋণগ্রস্ত পরিবার আছে ২০.৬%।
কৃষকদের কোন উপকার না করে, উপরন্তু কৃষি আইন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের ঘাড়ে