আরজি কর ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে ৫৮ দিনের মাথায় সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিট
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে, কে প্রকৃত দোষী? একাধিক জল্পনা বিগত ৫৮ দিন ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজ্যজুড়ে। দেবীপক্ষের সূচনায় চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। চার্জশিটে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, ধৃত সঞ্জয় রায়ই মদ্যপ অবস্থায় ধর্ষণ ও খুন করেছেন তরুণী চিকিৎসককে।সোমবার দুপুরে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তদন্তকারী অফিসারেরা চার্জশিট পেশ করেন। তদন্তভার হাতে নেওয়ার ৫৮ দিন পরে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই।
২০০ জন সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে ২১৩ পাতার চার্জশিট এদিন পেশ করা হয়। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করেছে। সে একাই এই কাজ করেছে। তবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার জন্য তাকে সাহায্য করেছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল। পরে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে এই ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের ভূমিকা আরও স্পষ্ট করা হবে বলে সূত্রের খবর।তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর বিচারের দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা।
এদিন ধর্মতলার অনশন মঞ্চে জুনিয়ার চিকিৎসকদের চার্জশিট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম থেকে যা তথ্য পেয়েছি, সেই অনুযায়ী এটি একটি প্রাথমিক চার্জশিট। তার ভিত্তিতে এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। তার পরে এই বিষয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব।’উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্তভার হাতে নিতেই সঞ্জয়কে হেপাজতে নেয় সিবিআই।