মোদী’র তথ্যপ্রযুক্তি আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ রায় বোম্বে হাইকোর্টের
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে সংশোধন এনে ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু এবার সেই আইনকেই ডাস্টবিনে ফেলে দিলো বোম্বে হাইকোর্ট।
এই আইনের মাধ্যমে কোনো সরকার বিরোধী বা বিজেপি বিরোধী ক্রিয়েটর বা পেজকে টার্গেট করে আক্রমণ করা, তাদের গ্রেফতার করে জেলে রাখা, এমনকি কথায়-কথায় দেশদ্রোহীতার মামলা দেওয়াই ছিল এই আইনের উদ্দেশ্য। টিভি চ্যানেলের নিয়ম সামাজিক মাধ্যমের ওপর বর্তিয়ে নিজেদের নাগপাশ শক্ত করতে চেয়েছিলেন মোদী।
কিন্তু, কয়েক সপ্তাহ আগেই সরকারের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছিল যে তীব্র জনরোষের ফলে এই আইন আর না আনার পক্ষে কেন্দ্র। এবার বোম্বে হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্ত জানানোয় স্বস্তির নিঃশ্বাস গণতন্ত্রপ্রেমী মহলে।
এই আইনের রুল ৩(১)(বি)র আওতায় নিজেদের মতো ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিট তৈরি করে ক্রিয়েটারদের হয়রান করার কথা বলা ছিল। বিরোধী ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বলে সেই সময় এই বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল। সেই আইনকে সংবিধানের পরিপন্থী বলে আখ্যা দিয়েছে আদালত। বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেন, এই সংশোধনী ভারতের সংবিধানের ১৪ এবং ১৯ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছে।
বোম্বে হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা করেছিলেন স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান কুণাল কামরা। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে কামরাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র।