ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে এনডিএ
একের পর এক রাজ্যে জোটসঙ্গীদের হারাচ্ছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পিডিপি, শিবসেনা, শিরোমণি অকালি দলের পরে এবার এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে গেলো জেডিইউ।
জাতীয় রাজনীতিতে দল হিসাবে শক্তিশালী হলেও ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে এনডিএ।শরিক হিসেবে বড় দল বলতে এখন রয়েছে তামিলনাড়ুর এডিএমকে, মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ শিবসেনা ও উত্তরপ্রদেশের আপনা দল (সোনেলাল)।
বাজপেয়ী জমানায় শরিক দলগুলিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হলেও, মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি একার জোরে ক্ষমতা দখলের ওপরেই বেশি জোর দিয়েছে। কখনো মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া নিয়ে, কখনো একতরফা আইন পাশ এইসব কারণেই ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে এনডিএ জোট.
২০১৮ সালে কাশ্মীরে পিডিপি-র সঙ্গে একতরফা সম্পর্ক ছেদ করার সিদ্ধান্তে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসে মেহবুবা মুফতির দল। বিতর্কিত কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সরকার ছেড়ে বেরিয়ে যান অকালি দল। মহারাষ্ট্রের ধাঁচে বিজেপি বিহারে জেডিইউকে ভাঙার চেষ্টা করছে, এই অভিযোগে গতকাল এনডিএ ছেড়েছেন নীতীশ কুমার।
২০১৯ সালের পর এনডিএ থেকে বেরিয়ে এসেছে ছোট দলগুলিও যেমন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি ও রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি,অসম গণ পরিষদ। জোট শরিকদের ধরে রাখতে গেলে যে নুন্যতম সম্মান দেওয়া প্রয়োজন তা মনে করেন বিজেপি। কারণ, তাদের মতামত, অধিকাংশ আঞ্চলিক দল পরিবারতান্ত্রিক আর তাদের নীতি দেশের স্বার্থের পরিপন্থী।
তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, এই মুহূর্তে সব কিছু বিজেপির ফেভারে বলে সমস্যা নেই, তবে দল যদি কখনো দুর্বল হয় তাহলে তখন ক্ষমতা দখলের প্রশ্নে বিজেপিকে সংখ্যা জোগানোর কেউ থাকবে না।