১১৬১ কোটির উৎস জানাতে চায় না বিজেপি
১১৬১ কোটি, নেহাৎ কম নয় এই টাকার অঙ্ক। সেই টাকার উৎসই নাকি জানে না বিজেপি! নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নের মুখে এমনটাই দাবি করেছে নরেন্দ্র মোদির দল। গত অর্থবর্ষের (২০২১-২২) অডিট রিপোর্টে তারা কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে, এই বিপুল অঙ্কের টাকার উৎস ‘আননোন সোর্স’, অর্থাৎ তাঁদের নাকি জানাই নেই। অজান্তেই তারা পেয়ে গিয়েছে হাজার কোটি টাকারও বেশি অনুদান।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, এনসিপি, সিপিআই এবং বিএসপির মতো সাতটি জাতীয় রাজনৈতিক দলের ভাণ্ডারে গত অর্থবর্ষে মোট ৩ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা জমা পড়েছে। তার মধ্যে, বিজেপিরই উপার্জন ১৯১৭ কোটি টাকা। সেই উপার্জনের বেশিরভাগ টাকাই আননোন সোর্স।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ইলেক্টোরাল বন্ড এবং ২০ হাজার টাকার কম অনুদানকারীদের বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ না করলেও চলে। কিন্তু তার বেশি হলেই বাধ্যতামূলক ভাবে জানাতে হয় ‘পৃষ্ঠপোষকে’র পরিচয় এবং টাকার অঙ্ক। তাহলে এই অজানা মাধ্যম কারা? গত আর্থিক বছরে তাদের উপার্জন ১৯১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৫৫ কোটি টাকার অনুদান কোথা থেকে এসেছে তা স্পষ্ট করেছে বিজেপি। বাকিটা পুরোটাই ‘অজানা’।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াই একমাত্র ইলেক্টোরাল বন্ড বিক্রি করতে পারে। অর্থাৎ, তাদের কাছেই রয়েছে অজানা সূত্রের ঠিকানা, যদিও তা তারা জানাতে বাধ্য নয়। আবার আদানি গোষ্ঠীও SBI এর থেকে পেয়েছিল ২১০০০ কোটি টাকার ঋণ। আর এখানেই কাটমানির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা।