সপ্তমীতে সিঁদুর খেলা! বীরভূমের খরুন গ্রামের রায় ও কর্মকার পরিবারের দুর্গাপুজোয়
প্রথাভাঙা নিয়ম বীরভূমের খরুন গ্রামের রায় ও কর্মকার পরিবারের সাবেকি দুর্গাপুজোয়। মাটির প্রতিমার বদলে পটের একচালা দেবী পুজো পান এই পরিবারে। গ্রামের জমিদার রাম নিধি রায় ও রামকানাই রায় যৌথভাবে এই সাবেক দুর্গাপুজো শুরু করেন বলে জানা যায়। কথিত আছে, রায় বংশের এক কুমারী মেয়ে না কি পুজোর দিনে মন্দিরে ঢুকে মাটির দেবীকে সন্ধ্যারতি করতে গিয়েছিল।
ওই মেয়েকে আর মন্দির থেকে বের হতে দেখেনি কেউ। পরে জমিদার বাড়ির লোক মন্দিরে ঢুকে ওই কুমারীর শাড়ির লাল পাড়ের অংশবিশেষ দেবীমূর্তির পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। এই ঘটনার পর থেকেই নাকি মাটির মূর্তির বদলে পট পুজোর প্রচলন এই গ্রামে।বছরভর পুজোর পর সেই একচালা পটমূর্তির নিরঞ্জন হয় পরের বছর মহালয়ার দিন বিকেলবেলা।দেবী ভাসানের আগে নয়, খরুন গ্রামের পুজোয় সিঁদুর-খেলা হয় সপ্তমীর সকালে। সপ্তমীর দিন দেবী বন্দনার পর শুরু হয় সিঁদুর খেলা। এমনকি সন্ধিপুজোতেও কালো ছাগলের বদলে ধপধপে সাদা ছাগল বলি দেওয়া হয় মায়ের কাছে।