লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির সদস্য হওয়ার আগ্রহ কমছে বাংলায়
প্রায় তিন বছর পরে দেশ জুড়ে আবার সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে বিজেপি। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে আনুষ্ঠানিক ভাবে কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলেই স্পষ্ট, বিজেপির জনভিত্তি দুর্বল হয়েছে। যার ফলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে মোদী-শাহ-নড্ডার দল। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে দলের জনভিত্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে।
অনলাইন ছাড়াও প্রতিটি শহর ও গ্রামের ঘরে ঘরে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়েছে তরুণদের দলে শামিল করায়। কোথাও টার্গেট ছিল ১ কোটি। হয়েছে ২৫ লক্ষ। কোনও রাজ্যে টার্গেট ছিল ৫০ লক্ষ। হয়েছে ১ লক্ষ। কোথাও সদস্য হওয়ার জন্য জনগণকে টাকাও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের হাল হকিকত দেখে বেজায় উদ্বিগ্ন শীর্ষ নেতৃত্ব।
গুজরাতের ভাবনগর থেকে রিপোর্ট আসছে যে, বিজেপির সদস্য হওয়ার জন্য আবেদনের ছবি এতটাই হতশাজনক যে, কর্মীদের ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে ১০০ জনকে সদস্য করার জন্য। উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ তথা প্রয়াগরাজ শহরের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের একটিতেও নতুন সদস্য সংখ্যা ১০ হাজার পেরোয়নি। যেখানে ৪৫ হাজারের বেশি করে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল, সেখানে ৬ হাজারের মধ্যেই আটকে রয়েছে। পাঞ্জাবে এবার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ৫০ লক্ষ সদস্য নথিভুক্ত করার। কার্যক্ষেত্রে হয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার। রাজস্থান এবং বিহার নিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব রীতিমতো শঙ্কিত। ৫৫ লক্ষ যেখানে ছিল রাজস্থানে টার্গেট, সেখানে হয়েছে ২৬ লক্ষ। বাংলায় টার্গেট করা হয়েছে ১ কোটি। কিছুদিন আগে পর্যন্ত হয়েছে ২৫ লক্ষ মাত্র।