ইনসাইডার ট্রেডিং-এ যুক্ত অ্যাক্সিস-মাই ইন্ডিয়া?
![](https://newsznow.in/wp-content/uploads/2024/06/Picsart_24-06-22_14-54-21-978-1024x576.png)
১লা জুন নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন খবরের চ্যানেলে শুরু হয় এক্সিট পোল বা বুথফেরৎ সমীক্ষার সম্প্রচার, যেগুলির প্রায় প্রত্যেকটিতে দেখানো হয় ৪০০ আসন নিয়েই বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ক্ষমতায় ফিরছে।
এর জেরে সোমবার, ৩রা জুন শেয়ার মার্কেট তীব্রগতিতে ঊর্ধ্বমুখী হয়। ৪ তারিখ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতে শুরু করার পর থেকে বিজেপি এবং তাঁদের জোটসঙ্গীরা আশানুরূপ ফল না করায় পড়তে শুরু করে ইনডেক্স, বলিষ্ঠ সরকার তৈরি হওয়া নিয়ে আশঙ্কা জন্মায়।এবং একদিনে বাজার থেকে মুছে যায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২.৩ লক্ষ কোটি টাকা।
এই এক্সিট পোল সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রদীপ গুপ্তার অ্যাক্সিস-মাই ইন্ডিয়া সংস্থা, যাঁরা বরাবর একটি বেসরকারি ইংরেজি চ্যানেলের মাধ্যমে নিজেদের অনুমান প্রকাশ করে। সেই সংস্থা দেখিয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবীমতো বিজেপি এবং শরীকরা “৪০০ পার” করে ফেলবে, যার জেরেই বাজারে আসে এইরকম ভূমিকম্প।প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভোট চলাকালীন বারবার বলেছেন যে ৪ঠা জুনের আগে “কিনুন”, তাহলে ভালো “রিটার্ন” পাবেন স্টকে।
দেখা যাচ্ছে, গত কয়েক বছর ধরে অ্যাক্সিস-মাই ইন্ডিয়ার বার্ষিক আয়ে ৩ থেকে ৫ কোটি টাকা যুক্ত হচ্ছে “লগ্নির কার্যকলাপ” বা “ইনভেস্টমেন্ট এক্টিভিটিস” থেকে।
এখানেই প্রশ্ন জাগছে, যদি অ্যাস্কিস-মাই ইন্ডিয়া ৩ এবং ৪ তারিখ মার্কেটে টাকা লাগিয়ে, “বেয়ার”-এর রূপ ধরে বাজারকে ওপরে তুলে আছাড় মেরে তার থেকে লাভ করে থাকে, তাহলে এটি সরাসরি “ইনসাইডার ট্রেডিং”-এর প্রমাণ, যা সারা বিশ্বে দণ্ডনীয় অপরাধ।
এই বিষয়ে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সাকেত গোখলে। গোখলে আরো জানিয়েছেন যে সেবি বা সিকিউরিটিস এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া একমাত্র সংস্থা যাঁরা তদন্ত করে বড় করতে পারবেন এর সত্যতা।
এর আগে সেবির শীর্ষকর্তার সঙ্গে বৈঠকের আর্জি জানিয়েছিল তৃণমূল। ইনসাইডার ট্রেডিং এবং মার্কেট ম্যানিপুলেশনের মত বিষয় নিয়ে তোলপাড় হতে পারে আসন্ন লোকসভা অধিবেশন।