অর্থনীতি বিভাগে ফিরে যান

স্ট্যাগফ্লেশনের দিকে এগোচ্ছে ভারত, জানালেন অমিত মিত্র

ডিসেম্বর 22, 2021 | 2 min read

একদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, অন্যদিকে নতুন বছর থেকে জামা কাপড়ের ওপর জিএসটি বৃদ্ধির ঘোষণা কেন্দ্রের। এই সব বিষয়গুলোকে সামনে রেখে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন বাংলার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা ডঃ অমিত মিত্র।

সোমবার, ‘দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া’-র সভায় অমিতবাবু বলেন, ‘‘আমি শঙ্কিত, কারণ দেশ প্রায় স্ট্যাগফ্লেশনের মুখে। তা মোকাবিলার পদ্ধতি অজ্ঞাত।’’ এখানে উল্লেখযোগ্য যে, মন্থর বা থমকে যাওয়া বৃদ্ধির মধ্যেই বেকারত্ব (১০.৪৮%) ও মূল্যবৃদ্ধি (পাইকারি বাজারে ১৪.২%) লাগাম ছাড়ালে তাকে বলে স্ট্যাগফ্লেশন। আর এই পরিস্থিতির জন্য নোট বাতিল, তড়িঘড়ি জিএসটি চালু থেকে শুরু করে করোনাকালে চাহিদার বদলে জোগান বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিয়ে মোদী সরকারের ধারাবাহিক ‘ভুল’ নীতিই দায়ী বলে তোপ দেগেছেন তিনি।

অমিত মিত্র বলেন, বেহাল অর্থনীতির সূত্রপাত হয়েছিল করোনার আগে, এখনও তা বহাল। এতে ক্রমশ বাড়ছে আর্থিক বৈষম্য। এখন নির্মলা সীতারামনও বেসরকারি লগ্নি বাড়েনি বলে স্বীকার করছেন। এই কারণে সভায় হবু হিসেব পরীক্ষকদের কাজের সময়ে অর্থনীতির প্রেক্ষাপটের কথা মাথায় রাখার পরামর্শ দেন ডঃ মিত্র।

সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, করোনার শুরুতে চাহিদা বাড়াতে মানুষের হাতে নগদের জোগান বাড়িয়েছিল রাজ্য। তার পরে আবাসনে স্ট্যাম্প ডিউটি, সার্কল রেট হ্রাসের মতো পদক্ষেপে চাহিদা বাস্তবায়িত হওয়া সহজ হয়। কিন্তু কেন্দ্র গোড়ায় শিল্পকে কর ছাড় বা ঋণের যে সুবিধা দিয়েছিল, চাহিদার অভাবে তারা তা লগ্নিতে বাস্তবায়িত করতে পারেনি।

উপরন্তু সেভাবে সাহায্য না-পেয়ে বহু ক্ষুদ্র-ছোট সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে। তাঁর কথায়, এখন সরকারি দফতর, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে দ্রুত মূলধনী লগ্নির জন্য নির্মলাকে চিঠি দিতে হচ্ছে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হতেও সময় লাগবে। এমনকি সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, জাতীয় আয়ে নীচের স্তরের ৫০% মানুষের অংশীদারি মাত্র ১৩%। ভুল নীতির জন্য আগামী দিনে তা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাঁর।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

আরও দেড় লক্ষ মানুষ বার্ধক্য ভাতার আওতায়, রাজ্যের খরচ ১২৬ কোটি
FacebookWhatsAppEmailShare
একগুচ্ছ ওষুধের দাম বাড়ল ৫০ শতাংশ! ৫০%, ‘জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত’ বলল কেন্দ্র
FacebookWhatsAppEmailShare
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১২৭ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০৫,এগিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কাও
FacebookWhatsAppEmailShare