মূল্যবৃদ্ধির অশনি সংকেত আসন্ন
আশঙ্কা আগেই ছিল, তবে বাজেট পেশ হওয়ার পর সেই আশঙ্কা বদ্ধমূল ধারণায় পরিণত হল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কেন্দ্রের মোট ব্যয় ও আয়ের ফারাক বাজেট অনুমানের (জিডিপির ৬.৮%) থেকে বেশি (৬.৯%) হবে।
আর, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ওই ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৬.৪% হবে। কিন্তু, মজার কথা হল, ৬.৯% ঘাটতি পূরণে আগামী মার্চের মধ্যে সরকার যখন বাজার থেকে ৮.৭৫ কোটি টাকা ধার করার হিসেবে কষছে, তখন ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ৬.৪% ঘাটতি মেটাতে বাজার থেকে ১১,৫৮,৭১৯ কোটি টাকা ধার করতে হবে।
বেশি টাকা ধার করতে হলে সরকারকে বেশি সুদ দিতে হবে। ফলে, তার প্রভাব পড়বে উৎপাদনের খরচ ও পণ্যের দামের ওপর। অন্যদিকে, বাজেটে রান্নার গ্যাস, কেরোসিন প্রভৃতিতে ভর্তুকি প্রায় শূণ্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। এবারে ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমান কমিয়ে করা হয়েছে ৫৮১৩ কোটি। পেট্রোল-ডিজেলে, শুল্ক-সেস কমেনি। ফলে, পাঁচ রাজ্যের ভোট পর্ব মিটলে, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি ওই দুই জ্বালানির দাম ফের বাড়াতে শুরু করবে। তখন, মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।