গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত সোনিয়া গান্ধীই থাকছেন কংগ্রেস সভানেত্রী
রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে সাংবাদিকদের জানান, “কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া আমাদের নেতৃত্ব দেবেন এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপ নেবেন। আমরা সকলেই তার নেতৃত্বে বিশ্বাস করি.”
এদিনের বৈঠকে ৫ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আগামী স্ট্র্যাটেজি এবং আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বৈঠকে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ ‘জি ২৩’ গোষ্ঠীর নেতাদের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাহুল গান্ধীকে।
কংগ্রেসের জি-২৩ নেতারা প্রথম থেকেই গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে নেতৃত্বে চাইছিলেন। চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেেসর ভরাডুবি তাঁদের সেই দাবিকে আরও জোরাল করেছে। কংগ্রেসের সভাপতি পদে তারা মুকুল ওয়াসনিককে দাবি করেছিলেন। কার্যত ফল কিছুই হয়নি।
জি ২৩ গোষ্ঠীর গুলাম নবি আজাদ এবং আনন্দ শর্মা রবিবারের বৈঠকে খুব স্পষ্ট ভাবে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। আনন্দ শর্মা এদিন সতর্ক করে দিয়েছেন যে আম আদমি পার্টি পাঞ্জাবের প্রতিবেশী হিমাচল প্রদেশেও কংগ্রেসের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই বছরের শেষের দিকেই হিমাচলে নির্বাচন হওয়ার কথা। আজাদ বলেন, ‘ভোটের ছয় মাস আগে না করে মুখ্যমন্ত্রী অদলবদল চার বছর আগেই করা উচিত ছিল।’
জি ২৩ গোষ্ঠীর নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের বিষয়গুলি আবার উত্থাপিত কবেন।