আদানি সাম্রাজ্যের পতন শীঘ্রই মত মার্কিন সংস্থার
আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে আদানি গোষ্ঠী। হাজার-হাজার কোটি টাকার সাম্রাজ্য ভেঙে পড়তে পারে নিমেষেই। ঋণের বোঝায় দমবন্ধকর পরিস্থিতি গৌতম আদানির কোম্পানিগুলির। রিপোর্ট প্রকাশ করে এরকমই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছে মার্কিন রিসার্চ সংস্থা হিন্ডেনবার্গ।
রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই হুড়মুড় করে পড়তে শুরু করেছে আদানি পোর্টস থেকে পাওয়ার, এসিসি, আম্বুজা, এনডিটিভির শেয়ার দর।
সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ, গৌতম আদানির গোষ্ঠী কারচুপি করে তাদের সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ, দাবি করেছে দু’বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে তারা জেনেছে, ভারতের এই শিল্প গোষ্ঠী হিসাবেও জালিয়াতি করেছে।
রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, এক দশক ধরে আদানি গোষ্ঠী তাদের সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানির ১২,০০০ কোটি ডলার (প্রায় ৯,৭৯,৮০০ কোটি টাকা) নিট সম্পদের ১০,০০০ কোটিই এসেছে গত তিন বছরে, দামে কারচুপির মাধ্যমে শেয়ার সম্পদ চড়িয়ে। গড় বৃদ্ধি ৮১৯%।
শুধু তা-ই নয়, হিসাবে জালিয়াতির অভিযোগ এনে গবেষণা সংস্থাটি মরিশাস, আরব আমিরশাহীর মতো আয়কর ছাড়ের সুবিধা মেলে এমন কিছু দেশে আদানি পরিবারের মালিকানাধীন কিছু ভুয়ো সংস্থার কথা উল্লেখ করেছে। বলেছে, সেগুলির মাধ্যমে বেআইনি লেনদেন, কর ফাঁকি ও আইন ভেঙে নথিভুক্ত সংস্থা থেকে অন্যত্র টাকা সরানোয় লিপ্ত ছিল তারা।
হিন্ডেনবার্গের দাবি, গবেষণা চালাতে তারা কথা বলেছে কয়েক ডজন ব্যক্তির সঙ্গে। যাঁদের মধ্যে আদানি গোষ্ঠীর কয়েক জন প্রাক্তন উচ্চপদস্থ কর্তাও রয়েছেন। পর্যালোচনা করা হয়েছে কয়েক হাজার নথি। খতিয়ে দেখা হয়েছে প্রায় আধ ডজন দেশের ওয়েবসাইটও।