আজব রীতি, জগদ্ধাত্রী পুজোর ভোগ কাঁচা মাংস ও মণ্ডা
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘোষ পরিবারের পুজোতে জেলার বাইরে থেকেও গিয়ে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। এই উদযাপন ঠিক কবে শুরু হয়েছিল, তার সঠিক তথ্য না থাকলেও অনুমান করা হয় প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো এই জগদ্ধাত্রী পুজো। ঘোষ পরিবারের সদস্য দ্বারিকানাথ ঘোষ জমিদার ছিলেন । আর সেই জমিদারির উদ্দেশ্যেই মেদিনীপুরে আগমন। জমিদারি প্রথা এবং সে প্রথার সুবাদে প্রথম আরামবাগে দুর্গাপুজো শুরু করেন।
সেখানেই তিনি এই জগদ্ধাত্রী পুজােরও প্রচলন করেন । এরপর এই পুজো আস্তে আস্তে উঠে আসে মেদিনীপুর শহরের মীরবাজার এলাকায়। পাঁচ-ছয় পুরুষ ধরে এই ঘোষ পরিবারের পুজো চালিয়ে আসছেন বর্তমান সদস্যরা। এই পুজোতে মূল বিশেষত্বই হলো, মাকে দেওয়া হয় কাঁচা মাংস ও ছানার তৈরি বিশেষ মণ্ডা।
মা সন্তুষ্ট হওয়ার পর সেই ভোগ অতিথিদের দেওয়া হয়। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের মাটি নিয়ে এসে জগদ্ধাত্রীর মূর্তি তৈরি হয়। গত বছরের রেখে দেওয়া কাঠামোর উপর মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়। এরপর চলে মাটির কাজ এবং রঙ। রঙের পর করা হয় দেবীর অলংকরণ। এই পুজোর ধূপ কেনা হয় না বাজার থেকে। প্রায় মাসখানেক ধরে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতেই তৈরি করেন এই বিশেষ ধূপ। তান্ত্রিক মতে, এই পুজো সম্পন্ন হয়। পুজোর এক রাত্রের মধ্যেই বিসর্জন করে দেওয়া হয় প্রতিমা। হই হুল্লোড় করে গোটা গ্রামের মানুষ যান প্রতিমা নিরঞ্জনে।