শিক্ষাঙ্গনে কী কী স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে
কোভিড বিধি মেনে পঠনপাঠন চালানোর জন্য কী কী স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে সেই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দফতর।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক:
প্রয়োজনে স্কুলের সময় সকাল ও দুপুর দু’ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
স্কুল শুরু হওয়ার আগে করোনা নিয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করতে ১০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখতে হবে।
পারস্পরিক দূরত্ব রক্ষার জন্য প্রতি বেঞ্চে দু’জনের বদলে এক জন পড়ুয়া বসানোই বাঞ্ছনীয়।
বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, সিম্বল বা প্রতীক দিয়ে দূরত্ব রক্ষার বিষয়ে পড়ুয়া সহ ক্যাম্পাসের সকলকে সচেতন রাখতে হবে।
ভিড় এড়াতে স্কুল শুরুর ৬০ মিনিট আগে থেকে পড়ুয়াদের ঢোকার অনুমতি দিতে হবে।
সব পড়ুয়া নিজের জলের বোতল আনবে। নিজস্ব বই বা পেন অন্যদের ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। মাস্ক পরতেই হবে। সঙ্গে রাখতে হবে স্যানিটাইজ়ার। ঘনঘন হাত ধোয়া বাধ্যতামূলক।
ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য ‘থার্মাল স্ক্যানিং’-এর ব্যবস্থা রাখা আবশ্যিক।
কারও মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তাঁকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা যেন থাকে। যদি ক্যাম্পাসের মধ্যে রাখা না-যায়, তা হলে সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। বহিরাগতদের ঢোকার ক্ষেত্রে জারি করতে হবে নিষেধাজ্ঞা।
সংক্রমণ আটকাতে গয়না পরতে বারণ করা হয়েছে পড়ুয়াদের।
জাঙ্কফুড চলবে না। খেতে হবে বাড়ির তৈরি খাবার।
গ্রন্থাগার, জিম, ক্যান্টিন, প্রেক্ষাগৃহ, কনফারেন্স হলেও যাতে পারস্পরিক দূরত্বের বিধি যথাযথ ভাবে মেনে চলা হয়, সে-দিকে বিশেষ নজর রাখা জরুরি।
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট স্যানিটাইজ়ার ও সাবানের বন্দোবস্ত করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।