অর্থনীতি বিভাগে ফিরে যান

দেশের ৩ কোটি মানুষ কর্মহীন: অমিত মিত্র

সেপ্টেম্বর 11, 2021 | < 1 min read

কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য দিয়েই দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক দুর্দশার ছবিটা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্র। গত ৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে তিনি চিঠি দেন.

চিঠিতে তিনি যে যে বিষয়গুলির ওপর জোর দিয়েছেন:

এক, নিদারুণ বেকারত্ব। অগস্ট মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৮.২৩ শতাংশ। যার অর্থ, ৩.৬ কোটি মানুষের কোনও রোজগার নেই। আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী, সংগঠিত ক্ষেত্রের অর্ধেক কর্মী কোভিড পর্বে অসংগঠিত ক্ষেত্রে সরে গিয়েছেন।

দুই, অভূতপূর্ব হারে কারখানার কর্মীদের গ্রামে ফিরে চাষের কাজ করে পেট চালানোর চেষ্টা। এই ‘রিভার্স মাইগ্রেশন’ বলছে, অ-কৃষি ক্ষেত্রে আর রোজগার হচ্ছে না।

তিন, পাইকারি ও খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির জেরে মানুষের আসল আয় ও ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে।

চার, কেনাকাটা কমে গেছে। গত এপ্রিল-জুনে তার আগের বছরের তুলনায় কেনাকাটা ১২ শতাংশ কমেছে। আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার পরেও ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধেই ২.১ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ কমেছে।

পাঁচ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও সিএমআইই-র সমীক্ষা অনুযায়ী কেনাকাটায় উৎসাহ কমে যাওয়া। যা থেকে স্পষ্ট, মানুষের মধ্যে নৈরাশ্য তৈরি হয়েছে।

অমিতের মিত্র আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষের উপরে এই সব ধাক্কা থেকে বোঝা যাচ্ছে, কেন্দ্রের জোগান বাড়ানোর নীতি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ঘাটতির কথা মেনে নিন। মিথ্যার ঢাক না পিটিয়ে সত্যের মুখোমুখি হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। শিখুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে। চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যেভাবে সাধারণ মানুষের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছে, আদতে সেই পথেই অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। এটা প্রমাণ করছে বাংলা।’

অমিত মিত্রের যুক্তি, এখনই সজাগ না হলে সামনেই ঘোর বিপদ। সরকারের ভুল নীতিতে পড়ে দেশের যা আর্থিক হাল, তা অদূর ভবিষ্যতেও মিটবে না।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

মমতার দাবির পরই বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের,স্বাস্থ্য ও জীবন বিমায় উঠে যাচ্ছে জিএসটি
FacebookWhatsAppEmailShare
আরও দেড় লক্ষ মানুষ বার্ধক্য ভাতার আওতায়, রাজ্যের খরচ ১২৬ কোটি
FacebookWhatsAppEmailShare
একগুচ্ছ ওষুধের দাম বাড়ল ৫০ শতাংশ! ৫০%, ‘জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত’ বলল কেন্দ্র
FacebookWhatsAppEmailShare