পার্লামেন্টে ভুয়ো ভোটার কার্ড ইস্যুতে ওয়াকআউট-প্রতিবাদ তৃণমূলের
মার্চ 17, 2025 < 1 min read

সংসদে ডুপ্লিকেট বা ভুয়ো ভোটার কার্ড প্রসঙ্গে আলোচনা হতেই দিচ্ছে না বিজেপি। বারংবার তৃণমূল কংগ্রেস এবং আরও কিছু বিরোধী দলেদের পক্ষ থেকে আলোচনা এবং পর্যালোচনা চাওয়া হলেই রীতিমতো পাথরের দেওয়াল খাড়া করে দিয়ে স্তব্ধ করা হচ্ছে প্রক্রিয়া। এর জেরেই আজ সংসদে তোলপাড় ফেলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা, এবং রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করলেন সাগরিকা ঘোষ, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-দলনেত্রী সাগরিকা ঘোষ জানিয়েছেন যে বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খর্গে ভোটার কার্ড নিয়ে আলোচনা চাইলেও তার অনুমতি দেওয়া হয়নি, যার জেরেই সম্পূর্ণ বিরোধীপক্ষকে সংসদ ত্যাগ করতে হয়েছে। কি লোকাতে চায় বিজেপি? এপিক (ভোটার কার্ড) নিয়ে আলোচনা হলে কি তথ্য লোকাতে হবে মোদী এবং বিজেপিকে, যে তারা আলোচনাই হতে দিচ্ছেন না?
বাংলার হাজার হাজার ভোটারের সঙ্গে এক ভোটার নম্বরে যুক্ত করা হয়েছে গুজরাট, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যে বসবাসকারী মানুষদের। মূল লক্ষ্য এক: বাংলার ভোটের সময় বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপির পক্ষে ভোট করানো। অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, “চারদিনের বিরতির পর সংসদ খুলছে। বিরোধীরা সংঘবদ্ধভাবে গণতন্ত্রের এক আকর বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চায়। সরকার কি প্রস্তুত?”
তাই বাজেট অধিবেশন পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকেই ভুয়ো ভোটার কার্ড ইস্যুতে সংসদে আওয়াজ তুলছে বাংলার শাসকদল। গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধিদল দাবি করে যেন এই ডুপ্লিকেট কার্ডগুলিকে চিহ্নিত করে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়, যার প্রত্যুত্তরে কমিশন তিন মাসের সময় চেয়ে নিয়েছে।



