বাংলা বিভাগে ফিরে যান

কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সারের জোগানেও, বিকল্প ভাবনা রাজ্যের

নভেম্বর 6, 2024 | 2 min read

কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার সারের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ায় রাজ্যে ঘাটতি দেখা যেতে পারে। ফলে আসন্ন রবি মরশুমে আলু-সহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষে বিপাকে পড়তে পারেন বাংলার কৃষকরা। এই বঞ্চনার জন্য কেন্দ্রের উপর ভরসা না রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারের সুষম বন্টন এবং বিকল্প সারের ব্যবহারের উপর জোর দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সারের কালোবাজারি রুখতে।

রবি মরশুমে কৃষকদের জন্য সার সরবরাহ মসৃণ রাখতে মঙ্গলাবার নবান্নে সার আমদানিকারী, বিক্রেতা ও কৃষি সমবায়-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, কৃষি সচিব ওঙ্কার সিং মিনাও উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে। বৈঠকের শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে আলু চাষে প্রয়োজনীয় ১০:২৬: ২৬ এমপিকে সারের জোগান অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে। বারবার এ নিয়ে কেন্দ্রে চিঠি লিখেও কোন লাভ হয়নি।

পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ধান উৎপাদনে দেশের মধ্যে বাংলা প্রথম স্থানে রয়েছে এবং আলু উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে। অথচ ওইসব চাষে অপরিহার্য স্যারের জোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলার গরিব চাষিরাই কেন্দ্রের বৈমাতৃসুলভ আচরণের সম্মুখীন হচ্ছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, যেটুকু সার বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, বাস্তবে সেটুকুও দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে যতটা সার রাজ্যের হাতে রয়েছে, তার সুষম বন্টনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরবরাহকারীদের।

ডিভিসির বাঁধ থেকে অপর্যাপ্ত জল ছাড়া এবং ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে ইতিমধ্যেই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বাংলার কৃষকেরা। এখন সারের ঘাটতির কারণে যাতে তাঁদের কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় বাংলার সরকার তা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি ই-পস মেশিনে বাধ্যতামূলকভাবে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে চাষিদের কাছে এই সার বিক্রি করার কথা বলা হয়েছে। সার বিক্রির সময় চাষিদের অতিরিক্ত কিছু বিক্রি করা যাবে না বলে ব্লকের কৃষি আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এনপিকে সারের বিকল্প যে সমস্ত সার রয়েছে, বিক্রয়কেন্দ্রগুলিতে তার তালিকা ও দাম বাধ্যতামূলকভাবে লিখে রাখতে হবে। উল্লেখ্য, বাংলায় বর্তমানে রবি চাষে ৬ লক্ষ ৭২ হাজার হেক্টর কৃষি জমির জন্য পাঁচ লক্ষ এক হাজার মেট্রিক টন এনপিকে সারের প্রয়োজন হয়।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

আজ আরজি কর মামলার শুনানি
FacebookWhatsAppEmailShare
রেশনে চাল-গম দিতে সরকারের কত টাকা খরচ হচ্ছে, এবার থেকে লেখা থাকবে গ্রাহকদের স্লিপে
FacebookWhatsAppEmailShare
‘বিজেপির সদস্য হলে মহিলারা পাবেন অন্নপূর্ণা যোজনার ৩০০০ টাকা’, বেফাঁস মন্তব্য সুকান্তর
FacebookWhatsAppEmailShare