বিশ্বব্যাপী রেকর্ড যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত, শীর্ষে ভারত
নতুন উদ্বেগের কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে যক্ষ্মা! মঙ্গলবার হু বিশ্ব যক্ষ্মা রিপোর্ট, ২০২৪ প্রকাশ করেছে। তাতে প্রকাশ, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী সাড়ে ১২ লাখ যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজার রোগী এইচআইভি আক্রান্ত ছিলেন। হু জানিয়েছে, সংক্রামক রোগগুলির মধ্যে গত বছরে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি রোগী মৃত্যুর কারণ যক্ষ্মা। তাদের আশঙ্কা, সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগের তালিকায় হয়তো করোনাকে ছাপিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে যক্ষ্মা।২০২৩ সালে বিশ্বে প্রায় ৮২ লক্ষ মানুষ যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৫ লক্ষ। সেই বছরও সর্বাধিক আক্রান্ত ভারতে ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে যক্ষ্মা আক্রান্তের পরিসংখ্যান রাখা শুরু করে হু। ২০২৩ সালে সর্বাধিক আক্রান্তের রেকর্ড তৈরি হয়েছে।যক্ষ্মা আক্রান্ত প্রথম ৩০টি দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারত। ২০২৩ সালে বিশ্বের মোট যক্ষ্মা আক্রান্তদের মধ্যে ২৬ শতাংশই ভারতে। এরপর রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, আক্রান্ত হয়েছে ১০%। চীনে ৬.৮%, ফিলিপিন্স ৬.৮% এবং পাকিস্তানে ৬.৩% মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী যক্ষ্মা আক্রান্তদের মধ্যে ৫৫% পুরুষ, ৩৩% নারী এবং ১২% শিশু ও কিশোর-কিশোরী। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ২৯ লাখ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন করে ২ লাখ ৬২ হাজার ৭৩১ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়। ফলে এটা মহামারীর রূপ নিতে বেশি দেরি নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল চিকিৎসক টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাসের কথায়, “যক্ষ্মা এখনও অনেক মানুষের মৃত্যুর এবং অসুস্থতার কারণ হতে পারে। দ্রুত শনাক্ত করা, সেই রোগকে প্রতিরোধ করার মতো সমস্ত সরঞ্জাম আমাদের কাছে আছে। কিন্তু তারপরেও এই পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সমস্ত সরঞ্জামের প্রয়োগ বৃদ্ধি করার জন্য এবং টিবি শেষ করার জন্য সমস্ত দেশকে নির্দেশ দিয়েছে”।