২১৪০ কোটির প্রতারণা!‘ ডিজিটাল অ্যারেস্ট’-এর চার্জশিট ইডির
সাইবার প্রতারণার নতুন ফাঁদ ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। সরকারি হিসাবে গত দশ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) সাধারণ মানুষকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর ফাঁদে ফেলে ২ হাজার ১৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকেরা। প্রতারণার শিকার হয়ে প্রতি মাসে গড়ে ২১৪ কোটি টাকা করে খুইয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই প্রতারণা চক্রের মাথারা মূলত বসে রয়েছে কম্বোডিয়া, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস এবং তাইল্যান্ডে। সেখান থেকেই জালিয়াতি চক্র পরিচালনা করছে তারা। তবে দেশীয় একাধিক ভুয়ো সংস্থাও এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ ইডির। এমন বেশ কিছু সংস্থার উপর নজর রয়েছে তদন্তকারীদের।
সম্প্রতি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই এবার তৎপরতা বাড়াল কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। ডিজিটাল অ্যারেস্টের একটি মামলায় সম্প্রতি চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি। এই মামলার তদন্তে নেমে প্রায় ১৫৯ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে ইডি। যার পুরোটাই ডিজিটাল অ্যারেস্টের মাধ্যমে হাতানো। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ জনকে।চার্জশিটে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই চক্র চালাতে অজস্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়েছিল অপরাধীরা।
মনে করা হচ্ছে, প্রথমে প্রতারণার টাকা জমা করা হত অ্যাকাউন্টগুলিতে। তার পর সেটা বদলে নেওয়া হত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ৮ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু সন্দেহজনক নথি, ব্যাঙ্কের চেক বই ও ২ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। নতুন অ্যাডভাইজারি জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (আই৪সি)-এর তরফে। এমন কোনও ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তা জাতীয় সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০ বা www.cybercrime.gov.in পোর্টালে জানাতে বলা হয়েছে।