ছট পুজোর জন্য কৃত্রিম জলাধার সহ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন, জানালেন মেয়র
সামনেই ছট পুজো। এই উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। ছট পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে মেয়র ফিহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার আধিকারিক এবং রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাতে ঘাটের ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছট আচার পালনে দূষিত হয় রবীন্দ্র সরোবরের সার্বিক পরিবেশ। ফলে বেশ কয়েক বছর ধরে ছট পুজোর আগে থেকে পুজো শেষের পর পর্যন্ত সাধারণের প্রবেশ সেখানে নিষেধ। বিকল্প হিসেবে যে সমস্ত জলাশয়গুলিকে ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল, তার অন্যতম ছিল বেঙ্গল ল্যাম্প কারখানার জমির উপর একটি জলাশয়। সেটাও এবার ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ছট পুজোর প্রস্তুতি বৈঠকে সেই নিয়েই বিকল্প সিদ্ধান্ত গৃহীত হল।আসন্ন ছট উৎসব নিয়ে বুধবার জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক হয় কলকাতা পুরনিগমে। উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ কর্তারা, বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ সেনা-সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি এজেন্সি। বৈঠক সূত্রে খবর, ছট পুজোর ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয় বিস্তারিত ভাবে।এ বছর ছটপুজো হবে আগামী ৭ নভেম্বর এবং চলবে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর ছট পুজোর ব্যবস্থা করা হবে ৪০টি ঘাটে। সাধারণত ছট পুজো উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। বিশেষ করে গঙ্গা সংলগ্ন ঘাটগুলিতে প্রচুর সংখ্যক পূর্ণার্থীদের ভিড় হয়।বৃষ্টি হয়ে যাওয়ায় জল অনেকটা উপরে উঠেছিল৷ তাই অনেক ঘাটেই শ্যাওলা বা নোংরা হয়ে আছে ৷ সেগুলো অবিলম্বে পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। অন্যান্য বছরের মতোই চেঞ্জিং রুম এবং নতুন করে ঘাটে যাওয়ার রাস্তা মসৃণ করা হবে । পর্যাপ্ত আলো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র। সাত তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা থেকে আট তারিখ, শুক্রবার সকালে যতক্ষণ না পর্যন্ত পুজোর কাজ শেষ হয়, ততক্ষণ চক্ররেল পরিষেবা বন্ধ থাকবে। কলকাতা পুরনিগম ও পুলিশ ব্যারিকেড তুলে নিলে রেল চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে।