বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি
দীপাবলির পরের দিন দিল্লির আকাশে ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত দূষণের স্তর। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই দূষণের মাত্রা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা রাজধানীর বাসিন্দাদের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। শব্দবাজি, আতশবাজি, ও অন্যান্য উৎসবের উপকরণের তাণ্ডবে দিল্লির বায়ুমান অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে বাতাসের গুণমান বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি ৭ থেকে ১০টি পরিবারের মধ্যে অন্তত ১ জন এই দূষণের প্রভাব অনুভব করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দূষণের ফলে শিশু ও প্রবীণরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ এবং গাজিয়াবাদের বাসিন্দাদের কাছ থেকে ২১ হাজারের বেশি প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করেছেন সমীক্ষকরা। তার ভিত্তিতে তৈরি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শতকরা ৬৯ শতাংশ পরিবারে এক বা একাধিক সদস্যের গলা ব্যথা বা কাশি রয়েছে। ক্রমবর্ধমান দূষণের কারণে শতকরা ৪৬ শতাংশের চোখে জ্বালাপোড়া ভাব বা নাক দিয়ে জল পড়ছে। শতকরা ৩১ শতাংশের মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি সংক্রান্ত সমস্যা।
দূষণের কারণে কাজে মনযোগ দিতে অসুবিধা হচ্ছে ২৩ শতাংশের, ৩১ শতাংশের মধ্যে মাথাব্যথার উপসর্গ রয়েছে। ঘুমাতে অসুবিধা হচ্ছে ১৫ শতাংশের। অন্যদিকে ৩১ শতাংশের দাবি দূষণের কারণে তাদের পরিবারে কারও কোনও সমস্যা নেই।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যক্তিগত স্তরে সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। দীপাবলির সময় বাজি ফাটানোর পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব উৎসব উদযাপনের পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা। দূষণের এই মারাত্মক প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে বাড়ির মধ্যে বায়ু বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রের ব্যবহার, মুখে মাস্ক পরা এবং বাড়িতে থাকাকালীন দরজা-জানালা বন্ধ রাখার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।