ঝড়ে বিপর্যস্তদের যাতে কোনও প্রকার সমস্যা না হয় তা খতিয়ে দেখতে একাধিক নির্দেশ মমতার
দানা আতঙ্কে শুনশান বাংলা। ল্যান্ডফলের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলের জেলাগুলি। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিল নবান্ন। সারারাত খোলা ছিল কন্ট্রোল রুম। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে খোদ উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সকালে নবান্নে এসে পৌঁছয় প্রাথমিক রিপোর্ট। এরপরই বৈঠক করে পরিস্থিতি মোকাবিলার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী।আশঙ্কা থাকলেও এই রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র প্রভাবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কোনও শিথিলতা রাখতে চাইছে না নবান্ন। শুক্রবার দুপুরে রাজ্য প্রশাসনের এই মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে সংশ্লিষ্ট জেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি। সেখানে বসেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
সামগ্রিক ভাবে গোটা রাজ্যের জন্যই প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাধিক নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ ভাবে নজর দিতে বলেন উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিস্থিতির উপরে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘন্টা NDRF এবং SDRF-এর কর্মীদের মোতায়েন রাখা হবে।যাদের ত্রাণশিবিরে আনা হয়েছে, দুর্যোগ না মিটলে তাঁদের বাড়ি না ফেরানোর নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদের বাড়ি ভেঙেছে, আপাতত তাঁদের ত্রাণ শিবিরেই রাখতে হবে। ত্রিপল, খাবার, জল, বই-খাতা, জামা-কাপড়ের যাতে সমস্যা না তা দেখার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুর্যোগে বহু চাষের জমি নষ্ট হয়েছে।” এই সূত্রেই তিনি কৃষকদের ক্ষতি কতটা, তা যাচাই করতে সমীক্ষা করানোর নির্দেশ দেন। বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন যাতে এখনই নিজেদের বাড়ি না ফেরেন, তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।