ডাক্তারদের ‘আমরণ অনশন’ প্রত্যাহারের পরই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন সহ-নাগরিকেরা
আর জি কর কাণ্ডের পর জেলায় জেলায় তৈরি হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। রাত দখল থেকে নানা মিছিল মিটিং কর্মসূচির মেসেজ আসত সেইসব গ্রুপে। নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবিতে নাগরিকদের সেই গ্রুপগুলিতেই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছিল কোথায় কখন কী কর্মসূচি নেওয়া হবে। কিন্তু সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের নবান্ন-বৈঠকের পরে ‘আমরণ অনশন’ প্রত্যাহারের পরেই সেই গ্রুপ ছাড়তে শুরু করেছেন সকলে।সোদপুর থেকে শ্রীরামপুর, হাওড়া থেকে ডানকুনি কিংবা নদিয়ার রানাঘাট— বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে তেমনই ছবি দেখা যাচ্ছে।
যাঁরা গ্রুপ ‘লেফট’ করে যাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই ‘হতাশ’। এমন প্রশ্নও তোলা হচ্ছে যে, এই আন্দোলনের কি আর কোনও ভবিষ্যৎ রইল? তবে অনেকে এ-ও বলছেন যে, ‘মূল দাবি’ আদায় এখনও বাকি। অর্থাৎ, নির্যাতিতার জন্য বিচার।গ্রুপ থেকে যাঁরা বেরিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের সিংহভাগেরই ধারণা, আন্দোলন এবারের মতো শেষ। মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে যে বৈঠক করেছেন তারপরে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই। বিভিন্ন এলাকার হোয়াটসঅ্যাপ ‘গ্রুপ অ্যাডমিন’-রা স্বীকার করেছেন, ‘আমরণ অনশন’ প্রত্যাহারের পর থেকে অনেকেই তাঁদের কাছে ‘হতাশা’ ব্যক্ত করছেন। অনেকেই গ্রুপ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।