ডানার আগমনে ফের ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় সুন্দরবন
ডানার ঝাপটায় সব কিছু এলোমেলো হওয়ার আশঙ্কায়, উৎকণ্ঠার প্রহর গুণছে কলকাতা থেকে জেলা। উপকূলের সঙ্গে দূরত্ব কমছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবন উপকূলে ঝড়ের দাপট বেশি। কাল পর্যন্ত জেলায় সমস্ত জল পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, দানা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সুন্দরবন এলাকার উপর বাতাসের গতিবেগ ১০০ থেকে ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছাতে পারে।
প্রশাসন ইতিমধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দিয়েছে, কিন্তু গ্রামবাসীরা সেখানেও যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করছেন না। তাদের অভিযোগ, সেখানে তাদের জীবিকার উপকরণ যেমন মাছ ধরার নৌকা এবং জাল থাকবে না, যা তাদের খাদ্য ও রোজগারের মূল উৎস।গতকাল রাত থেকেপ্রায় ৫০ হাজার মানুষকে ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, গোসাবা ও কাকদ্বীপ থেকে সবথেকে বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে। এছাড়া, সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। উপকূলে ৩৫টি CC ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
প্রস্তুত রাখা হয়েছে NDRF-এর ৩টি, SDRF-এর ২টি দলকে এবং প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের। গাছ ভেঙে পড়লে পরিষ্কার করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৪৭০টি দল। জেলা, মহকুমা ও ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই অঞ্চলগুলির মোট ১৭টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখান থেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী বাসিন্দাদের ফ্লাড সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে সাগর বিধানসভার সুমতি নগর, ঘোড়ামারা দ্বীপ, মৌসুনি দ্বীপ, কষতলা, কাকদ্বীপ বিধানসভার বুধাখালি, ঈশ্বরীপুর ও পাথর প্রতিমার গোবর্ধনপুর ও অন্যান্য জায়গাগুলি।